অনলাইন ডেস্ক : বছর দুয়েক আগে ব্যাপক জনবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয় রাজাপাকশে পরিবার। আবারো শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে ফিরে আসছে পরিবারটি। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরুমনার (এসএলপিপি) প্রার্থী হচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশের ছেলে নামাল রাজাপাকশে।
৩৮ বছর বয়সী নামালের পরিবার দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
তার পিতা মাহিন্দা একসময় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টও ছিলেন।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটির তামিল বিদ্রোহীদের দমনে নেতৃত্ব দেওয়ার সুবাদেই শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে আসে এই পরিবার। ২০১৯ সালের নির্বাচনে এসএলপিপির জয়ের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট হন গোতাবায়া রাজাপাকশে এবং প্রধানমন্ত্রী হন তার বড়ভাই মাহিন্দা রাজাপাকশে। তাদের আরো দুই ভাই মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় সরকারি তহবিলের অব্যবস্থাপনার কারণে ডলারের মজুত তলানিতে পৌঁছায় চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সে সময় খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ আমদানির মতো অর্থও ছিলো না দেশটির। এই সংকটের জন্য এসএলপিপি ও রাজাপাকশে পরিবারকে দায়ী করে দেশটির জনগণ সরকার পতন আন্দোলন শুরু করে।
এক পর্যায়ে সাধারণ জনগণের চরম বিক্ষোভের মুখে ২০২২ সালের জুলাই মাসে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়ন করেন গোতাবায়া।
তার আগে পদত্যাগ করেন মাহিন্দা ও তার দুই ভাই। পালানোর আগে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) রনিল বিক্রমাসিংহেকে নতুন প্রেসিডেন্ট করে যান গোতাবায়া। তবে সরকার পতন হলেও সংসদ না ভাঙায় এসএলপিপির এমপিরা রনিলকে সমর্থন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন।
ক্ষমতা গ্রহণের পর গোতাবায়া সরকারের সাংবিধানিক মেয়াদের বাকি ২ বছর পূর্ণ করেন রনিল। তার নেতৃত্বে গত দুই বছরে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।
ইউএনপি একটি ছোট রাজনৈতিক দল। এটি শ্রীলঙ্কায় তেমন জনপ্রিয় নয়। বর্তমান পার্লামেন্টে এই দলের একমাত্র এমপি রনিলই।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে রনিলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে কয়েকদিন আগে এসএলপিপি জানিয়েছে এবারের নির্বাচনে তারা রনিলকে সমর্থন করবেন না। এবার তারা নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করবেন। সে অনুযায়ী নামাল রাজাপাকশেকে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে এসএলপিপি।
সূত্র: এএফপি