অনলাইন ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ থেকে ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এখনও রাজধানীর সড়কগুলোতে অবস্থান ধরে রেখেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। তারাই প্রধানত সড়কে গাড়ি চলাচলসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন।

আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত, বনানী, বিজয় সরনি, ধানমন্ডি এবং সায়েন্সল্যাব এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা এলাকায় নওয়াব হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে কাজ করছেন। তারা যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন নিশ্চিত করছেন। একইসঙ্গে কেউ যেন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে না পারেন সেদিকেও রাখছেন কড়া নজর রাখছেন তারা।

নাসিব রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে আমরাই সাজাবো। সড়কে এতদিন নানান অসংগতি থাকলেও এখন আর সেগুলো করতে দেওয়া হবে না। তরুণদের মধ্যে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তারা যেকোনো ধরনের বৈষম্য এবং দুর্নীতি রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।

তাসলিমা জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল সারাদিন আমরা একাই সড়ক নিয়ন্ত্রণ করেছি। তবে আজ আনসার রয়েছেন। তারাও আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন। আমরা চাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ। সবাই মিলেই সেটি গড়তে হবে।

এ ছাড়া অন্যান্য সড়কগুলোতেও ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এর আগে, গতকাল বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আনসার ও ভিডিপি) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে গেছেন। রাস্তায়ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।