অনলাইন ডেস্ক : কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালির চূড়ান্ত বিজয় ঠেকানোর প্রত্যয়ে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে লড়ছে মধ্যপন্থী এবং কট্টর ডানপন্থী দলগুলো। নিজেদের মধ্যে ভোট কাটাকাটি এড়াতে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন কট্টর ডানপন্থী বিরোধী দলের দুই শতাধিক প্রার্থী।
প্রথম দফায় নির্বাচিত ৭৬ জনের বেশিরভাগই কট্টর ডানপন্থী। স্থানীয় সময় রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট বড় শহরগুলোতে টানা ১২ ঘন্টা চলার পর শেষ হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়। প্রথম দফা ভোটের ধারাবাহিকতা থাকলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার সরকার গঠন করবে ন্যাশনাল র্যালির মতো কট্টর ডানপন্থী কোনো দল। বিরোধীদের আশঙ্কা, কট্টর ডানপন্থীরা সরকারে গেলে হুমকিতে পড়বে গণতন্ত্র আর অর্থনীতি। বেকায়দায় পড়বেন অভিবাসী ও মুসলিমরা। লঙ্ঘন হবে গর্ভপাত ও সমকামিতার অধিকার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের জেরে গত ৯ জুন আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ৩০ জুন নির্বাচনের প্রথম পর্বে ৩৩ দশমিক দুই শতাংশ ভোট পায় মেরিন লে পেনের ন্যাশনাল র্যালি। ২৮ দশমিক এক শতাংশ ভোটে কট্টর বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট দ্বিতীয় এবং ২১ শতাংশ ভোট নিয়ে ক্ষমতাসীন এনসেম্বল অ্যালায়েন্স তৃতীয় অবস্থান অর্জন করে।
জরিপ বলছে, ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে ২৮০টি আসন পেতে পারে ন্যাশনাল র্যালি। যেখানে নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম ২৮৯টি আসন। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা