অনলাইন ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। বুধবার এক সংবাদ জিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সায়মাসহ মোট চারজনকে ফোরামের ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সায়মার সঙ্গে দূত হিসেবে আরও থাকছেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ, ফিলিপিন্সের জাতীয় সংসদের উপ-স্পিকার লরেন লেগার্দা ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রধান জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ তোসি এমপানু-এমপানু।
সিভিএফের বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদেরকে এই দায়িত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। জুন মাসে দ্বিতীয়বারের মতো সিভিএফ এবং ‘ভালনারেবল টোয়েন্টি’ বা ভি-২০ গ্রুপের সভাপতির দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ। ২০২০-২০২২ মেয়াদে এ দুই জোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিভিএফের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর আকাক্সক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থায়ন, সংসদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ঝুঁকিকে ছয়টি মূল বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ঝুঁকির বিষয়ে ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালকের উপদেষ্টা সায়মা। অন্যদিকে আকাক্সক্ষা বিষয়ে নাশিদ, সংসদ বিষয়ে লেগার্দা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে এমপানু দায়িত্ব পালন করবেন।
এর বাইরে ’সংস্কৃতি’ ও ’অর্থায়ন’ বিষয়ে মার্শাল আইল্যান্ড ও কোস্টারিকা থেকে আরও দু’জনকে দূত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে প্রচারের মাধ্যমে বিভিন্ন অংশীজন ও গ্রুপকে সচল করতে ভূমিকা রাখবেন এই দূতেরা। বিশেষ করে প্যারিস চুক্তির আলোকে এই শতকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার যাতে প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, থিমেটিক অ্যাম্বাসেডররা সিভিএফ সভাপতির এজেন্ডা ও প্রধান অগ্রাধিকারগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা এবং জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় সরকার এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগের বাইরে নতুন পথ উন্মোচনেও ভূমিকা রাখবেন।