অনলাইন ডেস্ক : শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে শরীরে ক্লান্তি আসে। কম ঘুম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণেও ক্লান্তির সমস্যা সৃষ্টি করে। ক্লান্তি কাজে মনোযোগের ঘাটতি ঘটায় এবং কাজের গতি কমিয়ে দেয়। এই ক্লান্তি ভাব নিয়মিত হতে থাকলে তা শরীরের জন্য খুবই নেতিবাচক একটা দিক। এতে আপনার দেহ-মন অবসাদে চলে যেতে পারে। কিন্তু রান্নাঘরের সামান্য কয়েকটা মসলা গুঁড়ো করে যদি প্রতিদিন খান তাহলে কিন্তু আপনার দুর্বলতা কাটবে। কাজে এনার্জিও পাবেন।

এবার জেনে নেই কোন মসলাগুলো শরীর সুস্থ রেখে দ্রুত ক্লান্তি দূর করে—

ছোট এলাচ, পোস্তর দানা, দেশি ঘি এগুলো একসঙ্গে গুঁড়ো করে যদি নিয়মিত কয়েকদিন খেতে পারেন তাহলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। এমনকী আপনার শরীর ক্লান্ত লাগবে না, দুর্বল হবেন না। শরীর থেকে দুর্বল ভাব কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে ছোট এলাচ প্রতিদিন খেতে পারেন।

যেসব উপকার পাবেন—

বিভিন্ন জায়গায় গবেষণায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গেছে, এই মসলাগুলো ক্লান্তিভাব দূর করতে জ্বালানির মতো ভূমিকা রাখে। যা দুর্বল ভাব কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরও যেসব উপকার পাবেন জেনে নিন।

রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
শরীরে শক্তিই পাবেন আপনি, হাড় মজবুত করতে নিয়মিত দুধের সঙ্গে পান করতে হবে এগুলো।
পোস্তর দানা ও গোল মরিচ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে আপনি সহজে উত্তেজিত হবেন না। মাথা ঠান্ডা থাকবে।
শরীর দুর্বলতা কমাতে ও শরীরে শক্তি বাড়াতে অবশ্যই দেশি ঘি খান।
এটি খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে।
পেস্তা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার থাকে। যা আপনার হাড় আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, আপনার শরীরে ক্লান্তি কমাবে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। একটি খেলে আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

যেভাবে তৈরি করবেন এই মসলা—

ছোট এলাচ নিয়ে এলাচের দানা বের করে নিন। তারপরে এটিকে ভালো করে গুঁড়ো করুন। এবার পেস্তা নিয়ে এক চামচ ঘি নিন সেটিকে পাত্রে নিয়ে গরম করুন, কিছু পেস্তর দানা নিয়ে হালকাভাবে ভেজে নিন। তারপরে সেগুলো ভালোভাবে গুঁড়ো করুন। মসলার গুঁড়ো একটি পাত্রে রাখুন। তারপর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে আপনি যদি এই মসলার গুঁড়ো খান তাহলে আপনার রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। হাড় দুর্বল হবে না, হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি কমবে। অল্প পরিশ্রমেই যদি শরীর দুর্বল হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনার এনার্জির ঘাটতি রয়েছে। এনার্জির অভাবে শরীর ঘনঘন ক্লান্ত হয়। এই ক্লান্তি কমিয়ে দিনভর কর্মক্ষম থাকতে চাইলে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই পাওয়ারবুস্টার।