অনলাইন ডেস্ক : হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের অন্তত ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধান পেতে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান।
বিভিন্ন দেশ হেলিকপ্টার উদ্ধারে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। অনেক বিশ্ব নেতা এই ঘটনায় তাদের উদ্বিগ্নতা জানিয়ে ‘ভালো খবর’ পাওয়ার অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটর বলেছেন, রাইসি মারা গেলে বিশ্ব নিরপদ!
মার্কিন সিনেটর রিক স্কট এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাইসি যদি মারা যায় তাহলে বিশ্ব এখন আরও নিরাপদ জায়গা!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে রাইসি সম্পর্কে স্কট বলেন, তাকে ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা করা হয় না এবং কেউ তাকে মিস করবে না।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্রসহ রাইসির নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার সঙ্গে মার্কিন সিনেটরের এই মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গাজা যুদ্ধে ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানছে। এটা নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে ‘ ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার নিখোঁজে এই মুহূর্ত পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ নেই। তবে তিনি ‘পরিস্থিতি উদ্ঘাটিত হওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন’ বলেও জানান।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় খুব খারাপ কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ছিল। তাই এটি একটি দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে এটি এখনও পুরোপুরি তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে।