স্পোর্টস ডেস্ক : বদলে গেছে ফুটবলার আরিফ হাওলাদারের জীবন। দুঃখ-দুর্দশায় নিমজ্জিত একটি পরিবারের মুখে আবারো হাসি ফুটেছে। আরিফকে ফুটবলে ফিরিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান পত্নী সালমা ওসমান লিপি ও সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

২০১৯ সালে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের দল অগ্রণী ব্যাংকে নাম লেখান আরিফ। কিন্তু করোনা ভাইরাসে লীগ বাতিল হওয়ায় গভীর সংকটে পড়েন এই ফরোয়ার্ড। সংসার টানতে শেষতক দৈনিক মাত্র ৪শ টাকায় যোগালি কাজ শুরু করেন তিনি। পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর শামীম ওসমান পত্নী সালমা ওসমান লিপি আরিফকে যোগালির কাজ থেকে ফিরিয়ে আনেন। আর্থিক নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তায় পুনরায় মাঠে ফেরার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। আরিফের জন্য সবচেয়ে বড় সুসংবাদ বয়ে আনে সাইফ পাওয়াটেক লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটি আরিফকে আবারো পেশাদার লীগে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। আরিফের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম আবাহনীতে নেয়ার কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

আরিফের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি বলেন, সংবাদটি আমার নজরে আসার পর সর্বপ্রথম আরিফকে আর্থিক অনুদান দিয়ে রাজমিস্ত্রীর যোগালি কাজ থেকে ফেরানো হয়েছে। এর মধ্যে ওর জন্য একটি টিমের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু শুনলাম চট্টগ্রাম আবাহনীতে তাকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

তরফদার রুহুল আমীন জানান, আরিফের মত ফুটবলার মাঠ থেকে হারিয়ে গেলে দেশের প্রতিভা হারিয়ে যাবে। আমি ব্যক্তিগত খুব আহত হয়েছি এসব ফুটবলারের দুর্দশার কথা শুনে। আরিফকে চট্টগ্রাম আবাহনীতে নেয়া হয়েছে। দলবদল শুরু হলেই আরিফকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া আরো দুজন খেলোয়াড়কে সাইফ স্পোটিং ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, অগ্রণী ব্যাংকের আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে পেশাদার লীগে খেলেন আরিফ। আরামবাগ ও বিজেএমসির হয়েও দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ লীগে খেলেছেন এই ফুটবলার।