অনলাইন ডেস্ক : সম্প্রতি ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হয়েছে। এরইমধ্যে সিএএ চালু হতে দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ও কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এরইমধ্যে ‘বাংলাদেশি মুসলিম’দের জন্যে নতুন শর্ত দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
আসামের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ৩৭ শতাংশ ‘অসমিয়া মুসলিম’। বাকিরা বাংলাদেশি মুসলিম। বাংলাদেশি মুসলিমরা আসামে ‘মিঞা’ নামে পরিচিত। তাদের ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নেই মন্তব্য করে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
মিঞাদের উদ্দেশে হিমন্ত বলেন, ‘অসমিয়া সমাজের কিছু সাংস্কৃতিক নিয়ম ও ঐতিহ্য রয়েছে। যদি আসামের নাগরিক হতে হয় তবে সেই সব মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, কোনো পরিবারে যদি দুইয়ের বেশি সন্তান থাকে, তবে বাংলাদেশি মুসলিমরা আসামের নাগরিক হতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ‘যদি এ রাজ্যের নাগরিক হতে হয় তবে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যাবে না। ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পড়ানো যাবে না। মাদ্রাসার পরিবর্তে ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে।’
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে ভারত।
কিন্তু সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিমদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এই ‘বৈষম্য’ কেনো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দলগুলো। সূত্র: লাইভ মিন্ট