অনলাইন ডেস্ক : করোনা প্রাদুর্ভাবের পরে শুরু হওয়া লিগে বার্সেলোনাকে সেভাবে সেরা রূপে দেখা যায়নি। করোনা পরবর্তী ১১ ম্যাচের চারটিতে পয়েন্ট হারিয়েছে তারা। মধ্যে কাতালানদের সেরা ফর্মে দেখা গেছে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। অ্যাওয়ে ওই ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতেছিলেন মেসিরা। তবে লিগের শেষ ম্যাচে বিধ্বংসী বার্সার দেখা মিলল। আলাভেসের মাঠে তারা জিতল ৫-০ গোলে।
মৌসুম জুড়ে বার্সার হয়ে দারুণ ফর্ম দেখিয়ে গেছেন লিওনেল মেসি। শেষ ম্যাচের তিনি ছিলেন অসাধারণ। লিগের শেষ ম্যাচে তিনি করেছেন জোড়া গোল। এছাড়া বার্সার উইঙ্গে যোগ হওয়া তরুণ তারকা আনসু ফাতি করেছেন এক গোল। লুইস সুয়ারেজের গোলের পরে প্রথমবার বার্সা ভক্তরা মেসি-ফাতি-সুয়ারেজের গোল দেখল। এছাড়া বার্সার হয়ে মৌসুমের প্রথম গোল করেছেন রক্ষণভাগের ফুটবলার নেলসন সেমেদো।
ম্যাচের প্রথমার্ধে তিন গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। কাতালানদের হয়ে ২৪ মিনিটে প্রথম গোল করেন তরুণ আনসু ফাতি। দশ মিনিট পরে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মেসি। পরের দশ মিনিট দলকে আরও এক গোল এনে দেন লুইস সুয়ারেজ। দ্বিতীয়ার্ধেও একই রূপে শুরু করে বার্সা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সেমেদোর গোলে ব্যবধান ৪-০ করে কিকে সেতিয়েনের শিষ্যরা। এরপর ৭৫ মিনিটে মৌসুমের দ্বিতীয় ৫-০ গোলের জয় নিশ্চিত করে বার্সা। এর আগে সেতিয়েনের অধীনে ফেব্রুয়ারিতে এইবারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছিল বার্সা।
মেসি বার্সার শেষ লিগ ম্যাচে এসে গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ড। লা লিগার এক মৌসুমে ২১ গোলে সহায়তা দিয়ে গড়েছেন রেকর্ড। এর আগে রিয়াল ভালাদোলিদের বিপক্ষে গোলে পাস দিয়ে মৌসুমে ২০ গোল ও ২০ গোলে সহায়তার রেকর্ড গড়েন মেসি। শেষ ম্যাচে এসে শুরুর গোলটা আনসু ফাতিকে দিয়ে করার বার্সা তারকা। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলে পাস দেওয়ার রেকর্ড নিজের করে নেন। এর আগে ২০০৮-০৯ মৌসুমে ২০ গোলে সহায়তা দেন মেসি।