অনলাইন ডেস্ক : ক্যানসারসহ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ তৈরিতে বড় ধরনের সাফল্য দেখিয়েছেন ভারতীয় গবেষকেরা। যুগান্তকারী এই সাফল্যের ফলে একটি নতুন যুগের দরজা খুলে গেছে। এই অনবদ্য অর্জন এখন শুধু ভারতের গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কানপুরের (আইআইটি)। এতে করে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে শিগগিরই পৌঁছে যাবে ওষুধ, এমনটি আশা করছেন গবেষকেরা।

আইআইটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ‘ইনস্টিটিউটের নতুন এই গবেষণার ফলে ক্যানসার এবং আলঝেইমার, পার্কিনসন্স এবং সিজোফ্রেনিয়ার মতো মস্তিষ্কের রোগগুলোর সম্ভাব্য চিকিৎসা বোঝা সহজ হয়েছে। এই গবেষণাটি সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।’ খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

‘যুগান্তকারী গবেষণাটি উপযুক্ত ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের দরজা খুলে দিয়েছে যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের কাছে ক্যানসার এবং স্নায়ুবিক রোগের কার্যকর সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে আইআইটি কানপুরের পরিচালক অধ্যাপক এস গণেশ সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এই ধরনের রোগগুলো, যা ভয়াবহ দুর্ভোগ এবং খরচ সাপেক্ষ সেই রোগগুলোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হলো।

মস্তিষ্কের কোষের পৃষ্ঠে, জি প্রোটিন-সংযুক্ত রিসেপ্টর (জিপিসিআর) যা ক্ষুদ্র অ্যান্টিনার মতো, মস্তিষ্কের যোগাযোগ এবং ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে। যখন এই রিসেপ্টরগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগের সমস্যার কারণে আলঝেইমার এবং পার্কিনসন্সের মতো রোগ দেখা যায়।

একইভাবে, কেমোকাইন রিসেপ্টর ডি ৬ মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কাজ করে এবং ক্যানসারে, রিসেপ্টরটি টিউমার পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে, গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যাখ্যা করেছে আইআইটি কানপুর।

ইনস্টিটিউটের নিবিড় বায়োমেডিকেল গবেষণার সাহায্যে, নতুন পদ্ধতি এবং চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো বিকাশ করা যেতে পারে। যা বিশ্বব্যাপী এই জাতীয় রোগে আক্রান্তদের কাজে আসবে। রিসেপ্টরগুলোর বিশদ ত্রিমাত্রিক চিত্র তৈরি করতে ক্রায়োজেনিক-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি (ক্রায়ো-ইএম) নামে একটি উচ্চ প্রযুক্তির পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়াটি গবেষকদের আণবিক স্তরে রিসেপ্টরগুলোর থ্রিডি চিত্রগুলো বুঝতে এবং রোগের ধরণ ও কারণ হওয়া এই রিসেপ্টরগুলোর সমস্যাগুলো সংশোধন করতে নতুন ড্রাগের মতো অণু ডিজাইন করতে সাহায্য করে।