জাহিদা আলম : করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ অঙ্গরাজ্য থেকে নিউইয়র্ক আসা লোকজনকে একটি বিশেষ ফরম অবশ্যই পূরণ করতে হবে। উড়োজাহাজ, ট্রেন, বাস বা কার ড্রাইভে আসা লোকজনের এ ফরমে নাম–পরিচয়সহ যোগাযোগের তথ্য রয়েছে। ফরম পূরণে ব্যর্থ হলে ২০০০ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ১৫ জুলাই বলেছেন, বাইরের ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্য থেকে নিউইয়র্কে আসা লোকজকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাসে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে সেসব রাজ্যকে, যেখানে এক সপ্তাহের গড় টেস্টিংয়ের ফলাফলে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে আরকানসাস, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, আইডাহ, ক্যানসাস, লুইজিয়ানা, মিনেসোটা, মিসিসিপি, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, নাভাদা, ওহাইও, ওকলাহোমা, টেনেসি, টেক্সাস, উটাহ ও উইসকন্সিন।

রাজ্য গভর্নর বলেছেন, ‘আমরা অন্য রাজ্য থেকে ঢালাওভাবে ভাইরাস বহনকারী লোকজন নিউইয়র্কে আসতে দিতে পারি না।’

নগর বা রাজ্য হিসেবে করোনাভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্কে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যুর শোক নিয়ে এই নগর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমেরিকার অন্তত ৪০টি রাজ্যে এখনো সংক্রমণ ব্যাপক ছড়াচ্ছে, প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে।

নিউইয়র্কের নাগরিকদের সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাবলি এখনো কঠোরভাবে মেনে চলতে দেখা যাচ্ছে। সতর্কভাবে সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে ধাপে ধাপে। এমন বাস্তবতায় অন্যান্য রাজ্য থেকে আবার ভাইরাসবাহী লোকজনের মাধ্যমে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহাসড়ক ও বিমানবন্দরে এ নিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে এ নিয়ে আলাদা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউইয়র্কের পার্শ্ববর্তী দুটি রাজ্যের বেলায়ও এই নির্দেশনাবলি কার্যকর হবে। এই তিনটি রাজ্য যৌথভাবে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।