অনলাইন ডেস্ক : টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পর গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে। আজ সোমবার তার শেষ দিন। তবে গাজায় এতদিন ধরে যুদ্ধে ইসরায়েল বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় অক্টোবরে ঘোষণা করেছে যে যুদ্ধের দৈনিক ব্যয় প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার যার অর্থ মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যদিও যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত বার্ষিক বাজেট প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার।
অন্যান্য রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ইসরায়েলি টিভির চ্যানেল ১২ দেশটির সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র পরিচালকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বৈঠকটি প্রায় ৩ ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল এবং এতে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ওই বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, যুদ্ধে প্রতিদিন ইসরায়েল প্রায় এক বিলিয়ন শেকেল খরচ করে এবং এর মধ্যে রয়েছে সৈন্যদের বেতন প্রদানসহ যুদ্ধের সরাসরি খরচ যাতে প্রতিটি সদস্য প্রতিদিন ১০০০ শেকেল পায়। এছাড়া যুদ্ধে বিমান বাহিনীর পাইলটদের বেতন এবং এই বাহিনীর জন্য জ্বালানি এবং খাদ্য ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহও মেটাতে ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।
এছাড়াও, যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের বাজেট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বাজেট ঘাটতি পরের বছর (২০২৪) তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে যা তার জিডিপির প্রায় ৫-৮%। ইসরায়েল সরকার তার ৩ লাখ ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে সামরিক সেবার জন্য ডেকেছে যা গাজার বিরুদ্ধে তার অতীতের যুদ্ধের তুলনায় এই সরকারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংখ্যা। এতে অনেক শ্রমিক ও কর্মচারীকে তাদের কর্মস্থল ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।