ইব্রাহীম চৌধুরী, নিউইয়র্ক : আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড বলেছেন, ‘আমেরিকায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নাজুক হয়ে আছে, বিষয়টি আর গোপন কোনো কথা নয়। এপ্রিল মাসের পর বর্তমানে দেশের প্রায় ৪০টি রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তির দিকে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
১৪ জুলাই জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় সিডিসির পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড এই আশঙ্কার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে হেমন্ত ও শীতকালে আমেরিকার জনস্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কঠিন সময় যাবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, আমেরিকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। গড়ে এক লাখের কাছাকাছি মানুষ এখন প্রতিদিন নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে। সর্বশেষ সপ্তাহের গড় হিসাবে প্রতিদিন আমেরিকায় ৭০০ লোকের মৃত্যু হচ্ছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে। করোনাভাইরাসের চলমান সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের অর্থনীতি পুরোদমে চালু করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ ১৪ জুলাই এ নিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব হাসপাতালকে সরাসরি ওয়াশিংটনের কাছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের মাধ্যমে প্রাপ্ত এ রিপোর্ট আগে প্রকাশ করা হতো। এখন থেকে প্রতিটি হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে সরাসরি রিপোর্ট পাঠাবে। সিডিসিকে পাশ কাটিয়ে এমন নির্দেশে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার স্বাস্থ্যসেবীরা মনে করছেন, এর কারণে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশে রাজনীতি করা হতে পারে এবং বহু তথ্য জনসাধারণের আড়ালে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।