হাসান আমিন : শহরের আশ্রয় ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে অক্ষম শত শত উদ্বাস্তু এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দরজা খুলে দেয়া টরন্টোর একটি গির্জা শরনার্থীদের জন্য ব্যবহৃত স্থানটি নিয়ে সরকারের সব স্তরের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে। কারণ তারা স্কুল সহ চার্চের বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের শুরুর দিকে চার্চে আশ্রয় চাওয়া ২৩০ আশ্রয়প্রার্থীকে অবস্থানের ব্যবস্থা করেছিলো এই চার্চ। যাজক জুডিথ জেমস বলেছেন যে, গির্জাটি আর আশ্রয়প্রার্থীদের স্থান দিতে পারে না, কারণ এটি শিশুদের জন্য ব্যবহার করা হবে; নতুন স্কুল বছর যেখানে আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। স¤প্রতি আশ্রয় চাওয়া কয়েকশ শরনার্থীকে থাকার যুযোগ দিয়েছিল টরন্টোর রিভাইভালটাইম ট্যাবারনেকল চার্চ। টরন্টোর আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না থাকায় বেশ কয়েক সপ্তাহ তাদেরকে থাকার সুযোগ দিয়েছিল চার্চটি। প্যাস্টর জুডিথ জেমস বলেছেন, ২১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে কানাডায় আশ্রয় চাওয়া কোনো শরনার্থী আর চার্চে জায়গা পাবেন না। সেই সঙ্গে আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া চার্চের কার্যক্রম আবার শুরু হবে।
সিটি অব টরন্টোর সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে চার্চে আশ্রয় নেওয়া ২৩০ আশ্রয়প্রার্থীর সবাইকে অস্থায়ী একটি হোটেলে বা মিউনিসিপাল সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হবে।
টরন্টোর ডাউনসভিউ এরিয়ায় অবস্থিত আফ্রিকান কানাডিয়ান চার্চ ভিাইভালটাইম ট্যাবারনেকল প্রায় ৭০০ আশ্রয়প্রার্থীকে থাকার সুযোগ দিয়েছিল। জুলাই থেকে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে আসছিল তারা।
টরন্টোতে আশ্রয়প্রার্থীর আগমন ব্যাপক সংখ্যায় বেড়ে যাওয়ায় এর আশ্রয়ণ ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে গেছে। মে পর্যন্ত গত ২০ মাসে নগরীর আশ্রয়ণ ব্যবস্থায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে এ সংখ্যা প্রতিদিন ৫৩০ জন থাকলেও এখন তা পৌঁছেছে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ জনে।
টরন্টোর তৎকালীন ডেপুটি মেয়র জেনিফার ম্যাকেলভি বলেছিলেন, টরন্টোর আশ্রয়ণ ব্যবস্থা ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছে এবং ৩১ মে এই ঘোষণা দেন যে, অটোয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার সহায়তা ছাড়া টরন্টোর মিউনিসিপাল শেল্টারগুলো আর কোনো আশ্রয়প্রার্থীকে জায়গা দিতে পারবে না।
জেমস বলেন, নগরীর শেল্টারের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জরুরি সংকটে তার চার্চ সমাধান হয়ে আসে। রিভাইভালটাইম ট্যাবারনেকল, নর্থ ইয়র্কের ডমিনিয়ন চার্চ ইন্টারন্যাশনাল, ইটোবিকোকের পিলগ্রিম ফিস্ট ট্যাবারনেকল এবং গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার কমিউনিটি সেন্টারগুলো তাদের নিজস্ব ভবনে বিনামূল্যে আশ্রয়প্রার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। কিছু আশ্রয়প্রার্থী নগরীর শেল্টার রেফারেল সেন্টারের বাইরেও রাত কাটান। সূত্র : সিবিসি নিউজ