অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ দেওয়ায় অভিযুক্ত ডা. সাবরিনা চৌধুরী, তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেও অ্যাকাউন্ট জব্দের পাশাপাশি আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেন বিবরণীসহ যাবতীয় তথ্য ৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে বলা হয়েছে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও দিতে হবে।

সোমবার ডা. সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানায় করা প্রতারণার মামলায় চারদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার দুপুরে তাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগেই তার স্বামীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে মোট ২৭ হাজার করোনার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪৬০টি রিপোর্ট ভুয়া। বাকি ১১ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে। টাকা নিয়ে মানুষের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটারে বানানো সনদ। রিজেন্ট হাসপাতালও একইভাবে নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিত।