রাশিদুল হাসান : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পক্ষে অংশ নেওয়া ইউক্রেনের এক সৈন্যের প্রশংসা করেছিলেন কানাডার হাউস অব কমন্স-এর স্পিকার অ্যান্থনি রোটা। নাৎসিদের হয়ে লড়াই করা ওই সৈন্যকে রীতিমতো ‘বীর’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। এরপরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে এ ঘটনায় পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত ২৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, ভুল হয়ে গেছে। এজন্য তিনি খুবই বিব্রত বোধ করছেন।

স¤প্রতি হাউস অব কমন্স এ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সামনেই স্পিকার অ্যান্থনি রোটানাৎসি বাহিনীর ঐ সৈন্যের প্রশংসা করেন। তিনি সাবেক নাৎসি সেনাকে ‘হিরো’ বলে সম্বোধন করেন। এর জেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন স্পিকার রোটা। তিনি বলেন, যা হয়েছে, এর জন্য তিনি একাই দায়ী।

রোটা যার প্রশংসা করেছিলেন, তার নাম ইয়ো¯øাভ হুনকা। তার বয়স ৯৮ বছর। তিনি পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা ইউক্রেনের নাগরিক। হিটলারের এসএস বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি কানাডায় চলে আসেন।
এ ঘটনার পর রাশিয়া আবারও বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশটিকে নাৎসিদের কবল থেকে মুক্ত করা। কিন্তু, ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো তা মানতে চায় না।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এসব কথা বলে রশিয়া কখনোই ইউক্রেনে তাদের আগ্রাসনকে ঠিক বলে প্রমাণ করতে পারবে না। এ ঘটনায় তিনি ক‚টনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কিয়েভ ও জেনেলস্কির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ও ক্ষমা চেয়েছেন।

বুধবার হাউস অব কমন্স এ ট্রুডো বলেন, ‘পার্লামেন্টে সবার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি। গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের সামনে যা হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
সূত্র : দ্য গেøাব এন্ড মেইল