অনলাইন ডেস্ক : মহাকাশচারী ক্রিস্টিনা কচ চাঁদে যাওয়া প্রথম নারী হতে যাচ্ছেন। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এক ঘোষণায় এ তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ওরিয়ন মহাকাশযানে চড়ে চার ব্যক্তি চাঁদে যাবেন। সেখানে মিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিবেন ক্রিস্টিনা কচ।
নাসা জানিয়েছে, এই প্রথম চাঁদে পাঠানো হবে কোনো নারী মহাকাশচারীকে। ওই নারী মহাকাশচারীর পুরো নাম ক্রিস্টিনা হামোক কচ। তিনিই প্রথম নারী মহাকাশচারী হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন। ক্রিস্টিনার সঙ্গে অভিযানে শামিল হবেন আরও তিন মহাকাশচারী। তারা হলেন জেরেমি হানসেন, ভিক্টর গ্লোভার ও রিড ওয়াইজম্যান।
১০ দিন ধরে তারা চন্দ্রলোকে ঘুরে বেড়াবেন। মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য ১০ দিনের আটেমিস-২ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা।
প্রথম নারী মহাকাশচারী হিসেবে চাঁদে পাড়ি! যতটা রোমাঞ্চকর, ঠিক ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে মহাকাশচারী হিসেবে এমন সুবর্ণসুযোগ পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ক্রিস্টিনা।
ক্রিস্টিনা বলেছেন, ‘‘খুবই সম্মানিত বোধ করছি। যখনই অভিযানের কথা ভাবছি, দারুণ লাগছে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রকেটে চড়ে চাঁদে যাচ্ছি আমরা।’’
১৯৭৯ সালের ২৯ জানুয়ারি মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে জন্ম ক্রিস্টিনার। তার বেড়ে ওঠা নর্থ ক্যারোলিনার জ্যাকসিনভিলে।
ছোট থেকেই ক্রিস্টিনার স্বপ্ন ছিল মহাকাশচারী হবেন। সেই মতোই নিজের লক্ষ্যপূরণ করেছেন তিনি।
১৯৯৭ সালে নর্থ ক্যারোলিনা স্কুল অফ সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথেমেটিক্স থেকে স্নাতক পাশ করেন ক্রিস্টিনা। পরে নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পদার্থবিদ্যায় স্নাতক পাশ করেন তিনি। পরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
২০০১ সালে নাসা অ্যাকাডেমি প্রোগ্রামে যোগ দেন। নাসায় ক্রিস্টিনার সফর শুরু ২০১৩ সাল থেকে।
২০১৯ সালে প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন ক্রিস্টিনা। ছয়টি স্পেসওয়াকের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। মোট ৪২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট স্পেসওয়াক করেছেন তিনি। মহাকাশে মোট ৩২৮ দিন কাটিয়েছেন ক্রিস্টিনা।
মহাকাশ ঘুরেছেন। এবার তার গন্তব্য চাঁদ। চন্দ্রলোকে পা দিয়ে এবার নতুন ইতিহাস তৈরির পথে আছেন তিনি।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, নাসা