অনলাইন ডেস্ক : গত ৯ই আগস্ট, বুধবার টরন্টোর ৩১৪৮ কিংস্টন রোডের রকউড প্লাজায় বাংলাদেশ বিমানের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রাণলয়ের মাননীয় সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭শে জুলাই থেকে ঢাকা-টরন্টো ও টরন্টো-ঢাকা রুটে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ বিমান যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরু করে। তখন থেকে টরন্টোয় বাংলাদেশ বিমানের কার্যালয় করা হয় ৩৫২০ ড্যানফোর্থ এভিনিউ’র ১০৪ নম্বর স্যুটে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নতুন জিএসএ (জেনারেল সেলস এজেন্ট) নিয়োগ হওয়ায় অপেক্ষাকৃত বড় পরিসরে কার্যালয়ের প্রয়োজন পড়ে। বিমানের এই কার্যালয়ের ভাড়া বহন করবে নতুন এজেন্ট। মন্ট্রিয়লের এ বি বসির উদ্দিন আহমেদের এস আই ট্রাভেলস বিমান টরন্টোর জিএসএ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। উল্লেখ্য, যে কোন আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে টিকিট বিক্রয়ের বিষয়টি জেনারেল সেলস এজেন্ট এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
প্রতি সপ্তাহে দুই দিন বাংলাদেশ বিমান ঢাকা থেকে টরন্টো এবং টরন্টো থেকে ঢাকায় যাত্রী আনা-নেয়া করে থাকে। প্রতি শুক্রবার ও সোমবার দিবাগত রাতে বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টরন্টোতে রওনা হয় এবং প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় টরন্টোর পিয়ারসন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান টরন্টো থেকে ঢাকায় গমন করে। বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ -৯০০ ড্রিম লাইনারে আসন সংখ্যা হচ্ছে ৩৩৮টি। এর মধ্যে ইকোনোমি ক্লাসে ২৮৭টি, প্রিমিয়ার ইকোনোমি ক্লাসে ২১টি এবং বিজনেস ক্লাসে ৩০টি আসন রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিমান টরন্টোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একজন ফিন্যান্স ম্যানেজার, একজন স্টেশন ম্যানেজার এবং একজন কান্ট্রি ম্যানেজার রয়েছেন।
বাংলাদেশ বিমান টরন্টোর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশনার ডঃ খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ হাই কমিশন টরন্টোর কনসাল জেনারেল মোঃ লুৎফর রহমান এবং বাংলাদেশ বিমান টরন্টোর কান্ট্রি ম্যানেজার মেজবাহউদ্দিন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এ বি বসির উদ্দিন আহমেদ।
নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানের এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য বক্তারা টরন্টোর বাংলাদেশীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ বিমান এখন বিভিন্ন দেশে সফলতার সাথে দেশের পতাকা বহন করছে। সেই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে প্রায় এক কোটির মত বাংলাদেশী বসবাস করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড শক্তিশালী করার জন্য প্রবাসীরা সিংহভাগ অবদান রাখছেন, সেই সাথে তারা নিজেদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনামকে তুলে ধরছেন। বক্তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ বিমান কানাডার বাংলাদেশীদের সর্বোচ্য সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।
শোকের মাস আগস্ট এ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান।