অনলাইন ডেস্ক : ব্যাপক পরিবর্তন আসছে ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে। এরই মধ্যে এই বিল দেশটির জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রস্তাবিত এ আইনে ভারতের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতাকে বিপন্ন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া গণপিটুনি ও নাবালিকা ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
শুক্রবার দেশটির লোকসভায় (সংসদের নিম্নকক্ষ) এ শাস্তিগুলোর বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন অমিত শাহ। এবার থেকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ যেমন দেওয়া যাবে সেইসঙ্গে, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে, গণধর্ষণে কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের নতুন এ বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর যদি নির্যাতিতার মৃত্যু হয় তবে দোষী ব্যক্তিকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। যার মেয়াদ ২০ বছরের কম হবে না। তবে তা আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। নাবালিকাকে (১২ বছরের কম বয়সী) ধর্ষণ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্তকে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, যা কোনওভাবেই ২০ বছরের কম হবে না।
লোকসভায় পেশ করা বিলগুলোর মধ্যে ছিল- ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) বিল ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) বিল ২০২৩, এবং ভারতীয় সাক্ষ্য (বিএস) বিল ২০২৩ যা যথাক্রমে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০, ফৌজদারি কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-কে প্রতিস্থাপন করবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেকান হেরাল্ড