অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রধান অং সান সু চি-কে কয়েকটি মামলায় ক্ষমা করেছে দেশটির জান্তা সরকার। তবে এতে বন্দিদশা থেকে তার মুক্তি মিলছে না। অং সান সু চিসহ সাত হাজার বন্দিকে বিভিন্ন মামলায় মঙ্গলবার ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘অং সান সু চি-কে সংশ্লিষ্ট আদালত সাজা দিলেও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

তবে সু চি যেসব মামলায় সাজা পেয়েছেন তার মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে তার সাজা মওকুফ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো ১৪টি মামলা আছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ‘দায়িত্বশীল’ একজনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সু চি-কে এখনো বন্দি থাকতে হবে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা।

এর পর থেকে বন্দি রয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রী। মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামী কর্মীদের ‘হত্যা’ করা হয়েছে। দুর্নীতি, বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহার, কভিড আইন ভঙ্গ করাসহ বিভিন্ন মামলায় সু চি-কে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে মামলাগুলো সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

৭৮ বছর বয়সী সু চি-কে গত শুক্রবার জেল থেকে স্থানান্তর করা হয়। রাজধানী নেপিডোতে গৃহবন্দি অবস্থায় তাকে রাখা হয়েছে বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া ধর্মীয় উৎসবের অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপি একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে বন্দিদের ক্ষমা ঘোষণা করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টও এবারের ঘোষিত ক্ষমার আওতায় রয়েছেন।