অনলাইন ডেস্ক : মানুষের ধারা যে অনেক কিছুই যে সম্ভব সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীদের চেষ্টায় মহাকাশে এবার ফুটেছে বিস্ময়ের ফুল। সেখানে বিজ্ঞানীরা আরও অনেক কিছু করছেন। কিন্তু সেগুলোর ফল এখনো তারা দেখাতে পারেনি। লাগিয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। তাদের দাবি যেহেতু ফুল ফুটেছে তাই আরও অনেক বিস্ময় পৃথিবীর মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে। এই ফুলের নাম দিয়েছে তারা জিনিয়া ফুল।
জানা যায়, বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও পৃথিবী এবং এর বাসিন্দাদের রক্ষা করতে মহাকাশে নানা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘদিন ধরে তারা সেখানে গাছপালা উৎপাদনের চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টায় আশার আলো দেখাল একটি ফুল।
মহাকাশ শুধু নয়, পৃথিবী বাদে অন্যান্য গ্ৰহে প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কোনও গ্ৰহে প্রাণের অনুকূল পরিবেশ আছে কিনা, তারও খোঁজ চলছে। এর মাঝেই একটি চমকে ওঠার ছবি ভাগ করে নিল নাসা।
তাদের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে একটি ফুলের ছবি শেয়ার করে নাসা। তবে এই ফুল কারও বাড়ির বাগানে হয়নি। হয়েছে মহাশূন্যে।
মহাশূন্যেই বিশেষ কায়দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জিনিয়া ফুল। যা দেখতে রীতিমতো আসল ফুলের মতোই। বৈজ্ঞানিক উপায়ে মহাশূন্যেই প্রাণের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
নাসা সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘জিনিয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিভিন্ন পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে ফোটানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সাল থেকে মহাকাশে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন। যদিও এই পরীক্ষাটি শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। নাসার মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে জিনিয়া বেড়ে ওঠে।’
এই বিষয়কে কেন্দ্র করে নাসা লিখেছে, ‘মহাকাশকে অনেকভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। আর সেখানে উদ্ভিদরাও যে বেড়ে ওঠে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল। অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরে ফসল ফলানো সম্ভব। চাঁদ, মঙ্গল এবং তার বাইরে যেকোনও গ্রহেই সম্ভব হবে।’
নাসার মতে, জিনিয়াস ফুলের উৎপাদন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল। পৃথিবীতে ফিরে আসা বিজ্ঞানীদের জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী বিষয় ছিল। এর মাধ্যমে তারা এখন ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে, কীভাবে মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও গাছ জন্মানো সম্ভব।
এর আগে নাসার মহাকাশচারীরাও মহাকাশে আরও অনেক ফসল ফলিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে লেটুস, টমেটো এবং লঙ্কা। ভবিষ্যতে আরও অনেক গাছপালা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বেড়ে উঠতে দেখা যাবে।