অনলাইন ডেস্ক : ছড়িয়ে পড়ছে একের পর এক দাবানল। কানাডায় এসব দাবানলে পুড়ে ছাই বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। এছাড়া ছাই ও ধোঁয়ার কারণে কানাডা ও পাশ্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরের আবহাওয়া দূষিত হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বৃষ্টির আশায় রয়েছে কানাডা। দেশটির সরকারি আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, রবিবারের পর থেকে বৃষ্টি হতে পারে। যদিও দাবানলে জ্বলতে থাকা কুইবেকে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।

শনিবার কানাডার এক সরকারি আবহাওয়াবিদ বলেছেন, খুব সম্ভবত রবিবার থেকে বৃষ্টি পূর্ব কানাডার ধোঁয়ায় ঢাকা বাতাস পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। তবে দাবানলে জ্বলতে থাকা কুইবেক প্রদেশ পর্যন্ত বৃষ্টি পৌঁছাতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

শনিবার সকাল পর্যন্ত কানাডা জুড়ে ৪২৬টি জায়গায় আগুন জ্বলছিল, যার ১৪৪টিই কুইবেকে। গ্রীষ্মকালে কানাডার বনগুলোতে দাবানলের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু চলমান দাবানলের মাত্রা এবং স্বাভাবিক সময়ের আগে শুরু হওয়ার বিষয়টি নজিরবিহীন।

এ পর্যন্ত আগুনে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে প্রায় ৪৪ লাখ হেক্টর জমি পুড়েছে। যার ফলে হাজারো কানাডীয় নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই আগুনের ফলে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং টরন্টো থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বাসিন্দারা নিশ্বাস নিতে সমস্যায় পড়ছেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের আবহাওয়াবিদ জেরাল্ড চেং শনিবার জানান, রবিবার থেকে দক্ষিণ ওন্টারিও ও দক্ষিণ-পশ্চিম কুইবেকে বৃষ্টি হওয়ার কথা রয়েছে, যা ধোঁয়া নির্মূল করতে সাহায্য করতে পারে।

মঙ্গলবার থেকে কুইবেকের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যেখানে সবচেয়ে বড় আকারে আগুন জ্বলছে। তবে চেং জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ১ থেকে ২ সেন্টিমিটারের মতো হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের দুঃচিন্তার কারণ হচ্ছে, এই বৃষ্টিপাত যথেষ্ট নয়।

কর্মকর্তারা জানান, সোমবার নাগাদ ফ্রান্স থেকে আসা ১০০ দমকলকর্মীসহ প্রায় ১ হাজার ২০০ দমকলকর্মী কুইবেক জুড়ে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত থাকবেন। কানাডার কুইবেক একটি গাছগাছালিতে ঘেরা প্রদেশ, যেখানে ৮৫ লাখ মানুষের বসবাস এবং এর মোট ভূখণ্ডের পরিমাণ জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্সের সমন্বিত ভূখণ্ডের চেয়েও বেশি।

কুইবেকের উত্তরাঞ্চলের শহরগুলো থেকে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।