অনলাইন ডেস্ক : আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে কানাডার দাবানল। এতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চল বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির আলবার্টাতে আগুনের তীব্রতা বেড়েছে। সেখানে গত শুক্রবার রাতে এডসন শহর থেকে আরো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে গত মে মাস থেকে এই শহরটির মানুষ দ্বিতীয়বার উচ্ছেদ হলো।
কানাডার একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, এই দাবানল ‘পুরো গ্রীষ্মকাল’ চলতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে আজ রবিবার এই খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়েছে, নতুন ও তীব্রতর এই দাবানল কানাডাজুড়ে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বাধ্য করছে।

চলতি বছরের শুরু থেকে এই দাবানলে প্রায় ১৭ হাজার ৮০০ বর্গমাইল এলাকা পুড়ে গেছে। আগের বিভিন্ন দাবানলে গড়ে যত অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতো, সর্বশেষ পরিসংখ্যান তার চেয়ে অনেক বেশি। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বিশ্বের অন্যান্য অংশের তুলনায় দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে।

নরওয়ের কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, কানাডার দাবানল থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কিছু অংশ ঢেকে যাওয়ার পর তা নরওয়ের ওপর দিয়ে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ধোঁয়া দক্ষিণ ইউরোপের দিকেও চলে যাবে।

একজন গবেষক বলেছেন, ‘আমরা কুয়াশা বা ধোঁয়া দেখতে পাই, বাতাসে গন্ধও অনুভূত হয়, তবে নরওয়েতে বাতাসে থাকা দূষিত কণার সংখ্যা এত বেশি না, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কানাডায় আগুন জ্বলতে থাকায় ধোঁয়া সম্ভবত নরওয়ের মধ্য দিয়ে যেতে থাকবে।

এতটাই ভয়াবহ যে এর প্রভাব পড়ছে উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও। চারদিক ধূসর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দুই দেশ মিলে প্রায় ১০ কোটি মানুষ সমস্যায় পড়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এটিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কানাডার দক্ষিণ অংশের বনাঞ্চলের প্রায় ৩৮ লাখ হেক্টর এলাকা পুড়ছে আগুনে। কানাডায় প্রায় ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। নিউ ইয়র্ক শহরে দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে মানা করা হয়েছে।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, এনডিটিভি