অনলাইন ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডে একটি হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ। এতে করে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ মে) গভীর রাতে দেশটির ওয়েলিংটনের একটি হোস্টেলে আগুন লেগে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েলিংটনের একটি হোস্টেলে আগুন লাগার কারণে অন্তত ছয়জন মারা গেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত আরও বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতের ঠিক পরে ওয়েলিংটনের চারতলা লোফারস লজ হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং এর পরপরই জরুরি পরিষেবাগুলোকে সেখানে ডাকা হয়। দুর্ঘটনাকবলিত বিল্ডিং থেকে কয়েক ডজন লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে, এখনও অনেক লোকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স সতর্ক করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

বিবিসি বলছে, আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলকর্মীরা ভবনের ওপরের দিকে আগুন দেখতে পান। এরপর ভোর চারটা নাগাদ অন্তত ২০টি ফায়ার ট্রাকের সাহায্যে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার নিক পাইট অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাকে ওয়েলিংটনের ‘সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। পুলিশ সতর্ক করে বলেছে, তারা বিল্ডিংটিতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কোনও কথা বলতে পারবে না।

নিক পাইট আরও বলেছেন, বিল্ডিংটিতে অ্যাসবেস্টস রয়েছে। আর এ কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে এবং ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়া এড়াতে নিজেদের জানালা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে।

ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার পাইট বলেন, ‘এটি সকলের জন্য দুঃখজনক ঘটনা। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ জ্বলন্ত ভবনের ছাদ থেকে অন্তত পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে এবং আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেওয়ার পর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হিপকিন্স মধ্যরাতের এই অগ্নিকাণ্ডকে টিভিএনজেডের কাছে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং স্থানীয় দমকল কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে এনজেড হেরাল্ড জানিয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অবশ্য এখনও অজানা। তবে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, আগুন ইচ্ছাকৃতভাবে জ্বালানো হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করছে পুলিশ।