অনলাইন ডেস্ক : জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।সাকিবদের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আফগানিস্তানেরও। আজ (বুধবার) মিরপুরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ঝড়ো ফিফটিতে ২০ ওভারে ১৭৫/৭ সংগ্রহ করে টাইগাররা। ৪১ বলে ৬২ রান করেন রিয়াদ। টি-টোয়েন্টি এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস। এছাড়া ওপেনার লিটন দাস ৩৮ ও মুশফিকুর রহীম করেন ৩২ রান। জবাবে ১৯ ওভারে ১৩৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন পেসার শফিউল ইসলাম। আর অভিষিক্ত আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার ২টি করে উইকেট। ম্যাচসেরা হন মাহমুদুল্লাহ। আগামী মঙ্গলবারের ফাইনালের আগে শনিবার আফগানিস্তনের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ফেরান ব্রেন্ডন টেইলরকে (০)। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে রেগিস চাকাভাকে (০) সরাসরি বোল্ড করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে সাফল্য পান শফিউল ইসলামও। প্রথম বলেই শন উইলিয়ামসকে (২) সাজঘরে ফেরান ২ বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা শফিউল।
দলীয় ৩৫ রানে চতুর্থ উইকেটে হারায় জিম্বাবুয়ে। অভিষিক্ত বোলার আমিনুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন তিনোতেন্দা মুতুম্বদজি (১১)। দুই রানের ব্যবধানে রায়ান বুর্লকে তুলে নেন শফিউল। দলীয় ৪৪ রানে নিজের দ্বিতীয় সাফল্য পান আমিনুল। এবার জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক মাসাকাদজাকে (২৫) এলবির ফাঁদে ফেলেন এই লেগি। এরপর নেভিল মাদজিভা (৯) রান আউট হলে ৬৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষের দিকে রিচমন্ড মুতুম্বামি ঝড় তোলেন। শফিউলের বলে আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসটি অবশ্য কেবল জিম্বাবুয়ের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। ১৯তম ওভারে এসে কাইল জারভিস (২৭) ও আইসলে এনদুভুকে (০) ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস ও অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিং জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪৯ রান জমা করেন তারা। ৯ বলে ১১ রান করে শান্ত আউট হলে ভাঙে এ জুটি। কাইল জারভিসের বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন লিটন দাসও। দলীয় ৫৫ রানে ক্রিস্টোফার এমপফুর শিকারে পরিণত হন লিটন। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আরো একবার ব্যর্থ। দলীয় ৬৫ রানে বলে ১০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। অল্প রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহীমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চাপ সামলে উঠে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ৫৫ বলে ৭৮ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ১৪৩ রানে মুশফিকের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ২৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩২ রান করেন মুশি।
এরপর উইকেটে আসেন প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে এবার সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ৭ রান করে ফেরেন আফিফ। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন রিয়াদ। ৪১ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রান করেন রিয়াদ। আর দুই রান করলেই টি-টোয়েন্টি নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস ছুঁয়ে ফেলতেন তিনি। পরের বলেই আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ বলে সাইফুদ্দিন চার মারলে ১৭৫ রানে থামে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন কাইল জারভিস। ২ উইকেট নেন ক্রিস্টোফার এমপফু। একটি করে সাফল্য পান কাইল জারভিস, রায়ান বুর্ল ও তিনোতেন্দা মুতুম্বদজি।