অনলাইন ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় একটি শক্তিশালী সাত মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার বিকেলে প্রধান ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপ জাভার উত্তরে সমুদ্রে ভূমিকম্পটি রেকর্ড করা হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইউএসজিএস বলেছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ৫৯৪ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র শনাক্ত করার পর সুনামির সম্ভাবনা বাতিল করেছে। ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা মূল কম্পনের প্রায় এক ঘণ্টা পর একই এলাকায় ৫.৫ মাত্রার আফটারশক রেকর্ড করেছে।
জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারী বলেন, ভূমিকম্পের গভীরতা বেশি হওয়ায় খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারের’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভব করে। এটি তীব্র ভূমিকম্পের একটি চাপ, যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত।
শুক্রবারের ভূমিকম্পটি ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর সুরাবায়ার প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে, যেখানে দুই মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস করে। কম্পনটি জাভার একটি বড় অংশ, বালি ও লম্বক দ্বীপ পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল।
এএফপির একজন সাংবাদিক বলেছেন, ‘সুরাবায়াতে এটি খুব কমই অনুভূত হয়েছে, তবে কিছু প্রদীপ দুলছিল।’ তিনি ‘কিছুক্ষণের জন্য’ কম্পন অনুভব করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
পশ্চিম জাভার বান্দুংয়ের বাসিন্দা ক্লিস্টজার্ট তারিসা (২৫) এএফপিকে বলেছেন, ‘আমি কিছুটা আতঙ্কিত ছিলাম। কারণ আমি দ্বিতীয় তলায় ছিলাম এবং আমি জানতাম না যে ভূমিকম্পের তীব্রতা বড় না ছোট।’
অন্যদিকে জোগকার্তায় অনলাইন বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভূমিকম্প অনুভব করা একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, ভূমিকম্প তার ক্লাসে বাধা দিয়েছে।
৩৩ বছর বয়সী সাইমন আরসা মঙ্গগালা বলেন, ‘আমি একটি কম্পন অনুভব করেছি, যা বেশ শক্তিশালী ও দীর্ঘ ছিল।’
উল্লেখ্য, নভেম্বরে পশ্চিম জাভা প্রদেশের একই দ্বীপে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পের শিকার অধিকাংশই ভবন ধসে বা কম্পনের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে নিহত হয়। ৩ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে একটি ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে সময় বাড়িঘর কেঁপে উঠলেও কোনো হতাহতের ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সূত্র : এএফপি