সোনা কান্তি বড়ুয়া : পাকিস্তান ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বাংলাদেশে নির্মম হত্যা যজ্ঞ করেছে। জয় বাংলার জয়! বাঙালি জাতির জীবনে আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা ছাড়া সারা দেশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। সবুজের জমিনে রক্তিম সূর্য খচিত মানচিত্রের বাংলাদেশের আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ৫৩তম জাতীয় দিবস। এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয় : (১) গণতস্ত্র (২) জাতীয়তাবাদ (৩) সমাজতস্ত্র এবং (৪) ধর্মনিরপেক্ষতা।

ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে তুর্কী দখলদার বখতিয়ার খিলজি, পাকিস্তান এবং জামাত মৌলবাদীরা বাংলাদেশকে দখল করল! দেশের স্বাধীনতায় সামাজিক ন্যায়বিচারে ইসলাম ধর্ম-ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দুধর্ম ও খৃষ্ঠান ধর্ম কি ধর্ম নয়? বাংলাদেশের কীর্তিমান স্বাধীনতা দিবস “কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল! পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে ১৪ আগষ্ঠ ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বার শত মাইল দূরের বাংলাদেশকে দখল! পাকিস্তান ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ নর নারীসহ শিশু হত্যা, ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন : ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় পেলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে। ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বার শত মাইল দূরের বাংলাদেশকে দখল করে ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চে পাকিস্তান ইসলামের নাম দিয়ে ফতোয়া দিলেন, বাংলাদেশে ”অপারেশন সার্চ লাইট নামে (বাঙালিদেরকে হত্যা কর ) ৩০ লক্ষ নর নারী সহ শিশু হত্যা, ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে।

পাকিস্তান বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করতে সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং “যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তৎকালীন ইপিআরের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারা দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি ছিল এমন- ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।”

পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতায় একাত্তরের দুঃখের দিনে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী কারাগারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যে নিজের প্রাণদান করতে প্রস্তুত ছিলেন।

চারশত বছরের (৮ম শতাব্দী থেকে ১১ শতাব্দী) বৌদ্ধ পাল রাজত্ব তুর্কী দখলদার বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা দখল করল কেন? নির্লজ্জ পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে ১৪ আগষ্ঠ ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বার শত মাইল দূরের বাংলাদেশকে দখল করল! পাকিস্তান ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে বাংলাদেশে নির্মম হত্যা যজ্ঞ করেছে। বাঙালী মুমূর্ষু নর-নারীরগণকে দিনের দিনের পর দিন দুঃখের দহনে, করুন রোদনে তিলে তিলে KILLING, RAPING, INSULTING, DEGRADING & হত্যা করেছে। বাংলাদেশে পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতায় ২৩ (1947 TO 1970) বৎসরের ইতিহাস বাঙালী মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস- বাংলাদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চে এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৫ শে মার্চে নিহত সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা!

ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা জনগণকে গোলাম বানাতে ইসলাম ধর্ম ধর্ম – হিন্দু ও ও বৌদ্ধ ধর্ম কি ধর্ম নয়? ইউরোপে কোরাণে আগুন! রামুর মুসলমান কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিলে কোরাণ অবমাননা হয় না কেন? রামুর মুসলমান ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাংলাদেশে বিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! ধর্ম অবমাননা কি শুধু হিন্দু ও বৌদ্ধদের বেলায়! বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ইসলামীকরণ কেন? দেশের স্বাধীনতায় হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠানদের সকলের জন্য (১) সমান সুযোগ। (২) সমান অধিকার। এবং (৩) সমান আচরণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল সূত্রই এই তিনটি। আর ঠিক এই কারণেই সামাজিক ন্যায়বিচারের গুরুত্ব প্রত্যেক দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে অপরিসীম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাথে হিন্দু বৌদ্ধ রাষ্ঠ্রদ্বয় (ভারতও ভুটান) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়! বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের জন্য? দেশের স্বাধীনতায় সামাজিক ন্যায়বিচারে ইসলাম ধর্ম -ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম ও হিন্দুধর্ম কি ধর্ম নয়? ধর্মের ছদ্মবেশে বাংলাদেশের জনগণকে গোলাম বানাতে ধর্মান্ধ রাজনীতি!

ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার দুর্নীতি বধে বাহাত্তরের সংবিধান! ভোরের কাগজ (EDITORIAL 18 NOVEMER 2022) প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম ছিল, “জামায়াতের জঙ্গি কানেকশন!” প্রথম আলো, (৩০ জুলাই ২০০৯) প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম ছিল, “পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক অস্থির জনপদের নাম।” জামাত ও মৌলবাদীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! চারশত বছরের (৮ম শতাব্দী থেকে ১১ শতাব্দী) বৌদ্ধ পাল রাজত্ব তুর্কী দখলদার বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা দখল করল কেন?

ধর্মান্ধ জামাতের বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন ! রামুর মুসলমান ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করে ছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! আইনের শাসনে বাংলাদেশে কোরআন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই জামাতের হিংসায় উন্মত্ত সা¤প্রদায়িক রাজনীতি! বাংলাদেশে ধর্মান্ধ রাজনীতির জামাত মৌলবাদীরা ২০১৯ সালে মুসলমান রচিত ইসলাম ধর্মের পঞ্চম শ্রেণির ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ বইয়ের ১৬ ও ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় পাঠ্য বইতে বলছে ““অমুসলিমরা (হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান) ‘মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম!”
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুব রের ভাষায়
বহুদিন মনে ছিল আশা / ধরণীর এক কোণে
রহিব আপন-মনে; / ধন নয়, মান নয়, একটুকু বাসা!”

ইসলাম ধর্মে মহানবী মোহাম্মদের (সা.) কন্যা ফাতেমার (রা) অবমাননা কেন হ’ল, আবুবকর কুনফুযকে ফাতেমাকে মারার জন্য পাঠিয়েছিল! তাই কুনফুয ফাতেমাকে ( মহানবী মোহাম্মদের (সা.) কন্যা) ঘর থেকে আছার দিয়ে ফেলে দিল, তখন তাঁর উরুর হাড় ভেঙ্গে গেল ও পেটের সন্তানের গর্ভপাত ঘটল। অতঃপর দীর্ঘ শহ্যাশায়ী হল এবং সে অবস্থাতেই শহীদি মৃত্যু বরণ করলেন (এহতেজাজ, ১/৮৩)। (মানাকিবু অলে আবি তালিব, (2/205 FACEBOOK টীম নাস্তিক বাংলা July 27, 2019) REPORTED তাবারসি বর্ণনা করেন!

বাংলাদেশে মুসলমান শ্রেষ্ঠ হলে মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে হিন্দু ও বৌদ্ধ নিকৃষ্ঠ হয় কেন? ‘কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিলে ও রামুর মুসলমান নেতাদের বিচার হলো না কেন? ধর্মান্ধ ইসলামি রাজনীতির কোরান অবমাননার গুজব কেন? ধর্মের অবমাননার অপরাধে সংখ্যালঘু বিদ্বেসী বই সংখ্যালঘুকে নিশ্চিহ্ন করেছে! ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত হয়ে ২০১৯ সালে ভেদ, বিসম্বাদ পূর্ণ, হিংসায় ভরপুর ও পঙ্কিল চিটিংবাজ ধর্মান্ধ রাজাকার, আলবদবরের রচিত ইসলাম ধর্মের পাঠ্য বইতে (Class Five) বলছে “অমুসলিমরা’ মিথ্যাবাদী’, ‘লোভী’, ‘পশুর অধম! ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে! এবং রামুর মুসলমান (ফেইসবুকে)

ধর্মের ছদ্মবেশে পাহাড়ী জনগণকে গোলাম বানাতে ধর্মান্ধ রাজনীতি! মানবাধিকারের আলোকে বাংলাদেশে আজ পার্বত্য অঞ্চলে (Rangamati Bandarban Khagrachari) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হিসেবে পাহাড়ীদের কাজ করেছে কি? যা কিছু হচ্ছে পাহাড়ীদের পার্বত্য অঞ্চলে সবি নিয়ে রাজনৈতিক টর্নেডো কেন? ধর্মান্ধ সেনা মদদে, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সেনাবাহিনীর হাতেই জিম্মি। সমতলের অনেক লোকজনই হয়তো এটা বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও – এটাই সত্যি! মুসলমান না হলে কি বাংলাদেশের আদর্শবান নাগরিক হওয়া যায় না? কেন ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন পাহাড়ীগণ ও বৌদ্ চাকমারা? এখনকার বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে হাজার হাজার চাকমা বৌদ্ধ পাহাড়ীদের ভারতে এসেছেন মূলত দুটো কারণে। এক, ১৯৬২তে কমিশন করা কাপ্তাই লেকের জন্য ভিটেছাড়া হয়ে আর দুই, ১৯৭২-য়ে শান্তিবাহিনী গঠিত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে। গবেষকরা বলেন, কাপ্তাই লেকের কারণে ৬৫৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছিল, যার মধ্যে ২২ হাজার হেক্টরই ছিল কৃষিজমি। বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ উপজাতীয়, যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ছিলেন চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মে র জন্য? পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে আসে EVERY DAY! ইসলাম ধর্ম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দুধর্ম কি ধর্ম নয়? পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী সমাজে বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে আসে EVERY DAY & EVERY MOMENT! ইতিহাসের আলোকে ধর্মান্ধ মৌলবাদী শাসক ও সন্ত্রাসীগণ বাংলাদেশের পার্বত্য জেলার আদিবাসীগণকে দিনের দিনের পর দিন দুঃখের দহনে, করুন রোদনে তিলে তিলে KILLING , RAPING , INSULTING , DEGRADING & ক্ষয় করেছে। বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা দখল করল কেন?

কোরাণের নামে বাংলাদেশে ধর্মান্ধতার শেষ কোথায়? বাংলাদেশের স্বাধীনতায় MAJORITY মুসলমান রাজনীতিতে সকলের জন্য সমান সুযোগ এবং সমান আচরণ। দেশের স্বাধীনতায় সামাজিক ন্যায়বিচারে ইসলাম ধর্ম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম হিন্দুধর্ম কি ধর্ম নয়? ধর্ম অবমাননা কি শুধু হিন্দুদের বেলায়! বাংলাদেশে ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হওয়া আক্রমণ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে আজ বাংলাদেশের কাছে উদ্বেগ জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার থেকে (আনন্দবাজারপত্রিকা 19 NOVEMBER 2022)! মানবাধিকারের আলোকে জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত লিখেছেন, “জামায়াতের উগ্র সা¤প্রদায়িকতার বাহক শক্তিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে জনগণের সম্পদ হরিলুট করেছে!”

ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার দুর্নীতি বধে বাহাত্তরের সংবিধান! আল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস কেন? মুসলমান যেই মানব, হিন্দু ও সেই মানব। ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইসলামি জঙ্গীরা রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধ জনপদে আগুন দিয়ে তান্ডব দাহন করেছে। আজ ইউরোপের সুইডেন, নেদারল্যান্ডের পর এবার পবিত্র কোরান পোড়ানো হলো ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে! একের পর এক কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গোটা মুসলিম বিশ্ব। যে ইউরোপকে বলা হয় সভ্যতার মানদণ্ড, রাজনীতির নামে সে ইউরোপেই চলছে সা¤প্রদায়িক উস্কানি? (PROTHOM ALO 28 JANUARY 2023 )!

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এবং বাংলাদেশের হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খৃষ্ঠানদের জন্য সমান সুযোগ! সত্য কখনো চাপা থাকে না! ইতিহাস কিন্তু বড় নির্মম! ইউরোপে কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশে ১০ বছরে ও রামু বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ বিচার কাজ শেষ হয়নি! রামুর বৌদ্ধপল্লী ট্র্যাজেডির ১০ বছর! কোরাণের নামে বাংলাদেশে ধর্মান্ধতার শেষ কোথায়? মানবাধিকারের আলোকে ফেসবুকে কোরাণ অবমাননার অভিশপ্ত নির্লজ্জতর দুর্নীতি বধে বাহাত্তরের সংবিধান! মানুষের দেশ মানুষের মনেরই সৃষ্টি! ইসলাম ধর্ম অবমাননায় হিন্দু বৌদ্ধ হত্যায় ফেক আইডিতে কোরাণ অবমাননা কেন? ধর্মান্ধ মুসলমানগণ ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে দিনকে রাত, এবং রাত কে দিন করে!

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করে ভারতের ওই উদ্বেগ জানান। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছেন সে দেশের হিন্দু স¤প্রদায়।
বিষয়টি নিয়ে যাতে সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কথা বলে, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। আজ বিষয়টি বৈঠকে ওঠায় আশা করা যায় আগামী দিনে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা কমবে। বাংলাদেশ সূত্রে বলা হচ্ছে, এই ধরনের ঘটনা সামনে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। প্রতি বছর পুজোর সংখ্যাও বাংলাদেশে বাড়ছে। কাজেই উদ্বেগ অমূলক।

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!