বনানী বাবলি
স্বাধীন পাখি আসলো বসে ডালে
বৃক্ষটি ছিলো মাঠের পরেই, ধারে
এদিক ওদিক ডালপালা দু’টি মেলে
হাতছানি দেয় শন শন পাতা নাড়ে।
শীত আসে, বর্ষা ঝরে
হেমন্ত বসন্ত যায় হেসে খেলে।
পাখি গান গায়, ডানা ঝাপটায়
বৃষ্টিস্নাত বৃক্ষ তারে ঢাকে
নরম সবুজ পাতায়।
সাঁঝের বেলা পাখি ডাকে কারে
বৃক্ষ ভাবে উড়ে যাবে সেও
পাতার ডানায়
চুপিসারে একদিন অচেনা আকাশ সীমায়
যেখানে মেঘেরা হাওয়ায় উড়ে
হারিয়ে যায়, দোল খায় ধীরে
কোন অজানায়
অচিনপুরের বৃক্ষটি বুঝি
বাসে ভালো তারে।
রৌদ্রদগ্ধ অবোধ বৃক্ষ হায় –
কবে কে কখন কোন ভূমিতলে
শিকড় রেখেছে শক্ত বেঁধে যারে
না যেনো পালায় কভু মনের ভুলে।