স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যালন ডি’অর কে পেতে যাচ্ছেন সেটি অনুমিতই ছিল, অপেক্ষাটা ছিলো শুধু মঞ্চে নাম ঘোষণার। অবসান হয়ে গেলো সেই অপেক্ষারও। রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমার হাতেই উঠলো ব্যালন ডি’অর।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাতে প্যারিসের চ্যাটেলেট থিয়েটারে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যালন ডি’অর তুলে দেওয়া হয় বেনজেমার হাতে।

গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবেই প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। ফ্রান্স ফুটবলের দেওয়া ফুটবলে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের বর্ষসেরার এই ট্রফি তার হাতে তুলে দেন ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান।

ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে বেনজেমা পেছনে ফেলেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা, রবার্ট লেওয়ান্ডোভস্কি ও সাদিও মানেকে। অন্য সকলের চেয়ে পারফরম্যান্সে অনেক্টাএগিয়ে থেকেই গত মৌসুমটা শেষ করেছিলেন বেনজেমা। দুর্দান্ত পারফর্ম করা বেনজেমা দুই হ্যাটট্রিকসহ চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছিলেন ১৫ গোল। পুরো মৌসুম জুড়ে রিয়ালের জার্সি গায়ে ৪৬ ম্যাচে করেছিলেন ৪৪ গোল।

বেনজেমার অনবদ্য নৈপুণ্যে গত মৌসুমে নিজেদের ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতে রিয়াল। ঘরোয়া লিগেও অনবদ্য পারফর্ম করে দলকে জিতিয়েছিলেন ৩৫তম লিগ শিরোপাও। এছাড়াও রিয়ালের হয়ে উয়েফা সুপার কাপ আর স্প্যানিশ সুপার কাপও জিতেছিলো বেনজেমা। শুধু ক্লাবই নয়, জাতীয় দলের হয়েও দুর্দান্ত সময় পার করেছেন বেনজেমা।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে গত মৌসুমে বেনজেমার হাতে উঠেছে ক্যারিয়ারের প্রথম পিচিচি ট্রফি। এছাড়া উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কারও জিতেছেন ক্যারিয়ারসেরা পারফর্ম করে।

এবারের ব্যালন ডি’অরের আসরে বেনজেমা ছাড়াও রবার্ট লেওয়ান্ডোভস্কি আর থিবো কোর্তোয়াকেও পুরস্কৃত করেছে ফ্রান্স ফুটবল। বছরের সেরা গোল স্কোরার হিসেবে জার্ড মুলার ট্রফি জিতেছেন বার্সার পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ান্ডোভস্কি। আর সেরা গোলরক্ষকের ইয়াশিন ট্রফি জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোর্তোয়া।

এদিকে, মেয়েদের ফুটবলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সার স্প্যানিশ তারকা অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। আর সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের কোপা ট্রফি জিতেছে বার্সার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার গাভি।

একনজরে ফ্রান্স ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার:
ব্যালন ডি’অর (পুরুষ): করিম বেনজেমা (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ)
ব্যালন ডি’অর (নারী): অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস (স্পেন ও বার্সেলোনা)
জার্ড ‍মুলার ট্রফি (সেরা স্ট্রাইকার): রবার্ট লেভানডফস্কি (পোল্যান্ড ও বার্সেলোনা)
লেভ ইয়েশিন ট্রফি (সেরা গোলরক্ষক): থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম ও রিয়াল মাদ্রিদ)
কোপা ট্রফি (অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী সেরা খেলোয়াড়): গাভি (স্পেন ও বার্সেলোনা)
সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড (দাতব্য কাজে সম্পৃক্ততা): সাদিও মানে (সেনেগাল ও বায়ার্ন মিউনিখ)
বর্ষসেরা ক্লাব: ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড)