স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন এক ইতিহাস গড়ার দাঁড়প্রান্তে দাাঁড়িয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবারের মতো পরপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার হাতছানি অজিদের সামনে। যদিও নিজেদের দেশে অনুষ্ঠিতব্য এবারের আসরে ইংল্যান্ড ও ভারতের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোকাবেলা করতে হবে ক্যাঙ্গারুদের।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চালু হবার পর এই প্রথম নিজেদের মাটিতে শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার মিশনে খেলতে যাচ্ছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। তারকা সমৃদ্ধ এই দলের লাইনআপে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত আসরের শিরোপা জিতেছিল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সম্প্রতি ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো ফিঞ্চ মনে করেন শিরোপা ধরে রাখার জন্য তারা তাদের সবগুলো অস্ত্রই তাতিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন,‘ কোন রকম সন্দেহবোধ করলে আমরা আরো বেশী আগ্রাসী হব। আমরা এভাবেই খেলতে চাই। কোন কোন সময় বেশী ঝুঁকি নিতে পারলে এর পুরস্কারও বেশী পাওয়া যায়। আবার কোন সময় কোন পুরস্কার পাওয়া যায়না। এটিই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একটি অংশ।’

আগামী রোববার গিলংয়ে শ্রীলংকা বনাম নামিবিয়ার মধ্যে কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। একইদিন নেদারল্যান্ডের মোকাবেলা করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৪৫ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার সাত ভেন্যু অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, হোবার্ট, পার্থ ও সিডনিতে।

আগামী ১৩ নভেম্বর ফ্লাইট লাইটের আলোতে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। শীর্ষ দলগুলো অর্থাৎ সুপার টুয়েলভ শুরু হবে ২২ অক্টোবর। এদিন সিডনিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাসমান পাড়ের আরেক দেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। গত বিশ্বকাপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলো প্রতিবেশী দেশ দুটিই। সেই ম্যাচে মিচেল মার্শের অপরাজিত ৭৭ রানে ভর করে কিউইদের ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবার শিরোপা জিতেছে শুধুমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১২ ও ২০১৬ সালে শিরোপা ক্যারিবিয়ান দলটি। এবার অস্ট্রেলিয়ার সামনে হাতছানি ক্যারিবিয়ানদের সেই কীর্তি ছুয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসকে আরেকটু উপরে নিয়ে যাওয়া।