অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়া ইউরোপের প্রত্যেক নাগরিকের স্বাভাবিক জীবন ধ্বংস করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। বিবিসি রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি শনিবার তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে পারছে না, সেখানে তারা দারিদ্র্য ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে।
রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার কয়েকঘণ্টা পরই এই অভিযোগ তোলেন তিনি।
গত বুধবার নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনে কারিগরি ত্রুটি ঠিক করতে তিনদিনের জন্য জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে গ্যাজপ্রম। শনিবার পুনরায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ছিল। কিন্তু নতুন কারিগরি ত্রুটির কথা বলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে গ্যাজপ্রম।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার উপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো। বিপরীতে রাশিয়াও ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ তুলনামূলক অনেক কমিয়ে দেয়।
এদিকে, জার্মানির পক্ষে অল্প সময়ের মধ্যে রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি বের করা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ ওলাফ শলৎস।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি নিয়ে বেকায়দায় আছে জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো।
দেশটির ক্ষমতাসীন স্যোশাল ডেমোক্রেট দলের রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, গ্যাসকে বার্লিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরোধীতা করায় জর্মিানিতে গ্যাস সরবরাহ কন্ধ করে দিয়েছে মস্কো।
ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে উদ্বৃত্ত গ্যাস পুড়িয়ে ফেলছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে হামলার আগে জার্মানির মোট চাহিদার ৫৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করতো রাশিয়া।
ইউক্রেনের হামলার পর রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে দেয়। ২০২৪ সাল নাগাদ জার্মানি গ্যাসের ওপর নির্ভশীলতা ১০ শতাংশে কমিয়ে আনবে বলে জানান ওলাফ শলৎস।