অনলাইন ডেস্ক : ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেলে সরকার আবারও জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করবে।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বিষয়টি উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারে প্রভাব পড়েছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বিপিসিকে। পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা ছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির লোকসান ছিল প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা। এ প্রেক্ষাপটে সরকারকে বাধ্য হয়ে মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বর্তমানে মিয়ানমারে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা, ভারতে ১১৪ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা, আরব আমিরাতে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা, নেপালে ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ টাকা ৭৮ পয়সা এবং হংকংয়ে ২৬০ টাকা ৭৫ পয়সা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এর আগেও গত বছরের ৪ নভেম্বর মূল্য সমন্বয় করেছে। তার আগে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের মূল্য কমিয়েছিল। ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ববাজারে শিগগিরই জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করবে। সেটা আমাদের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনবে।’