অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্কে পৃথক ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুজন নিহত হয়েছেন। হঠাৎ করেই নিউইয়র্কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার মুহূর্তে গ্রীষ্মের প্রথম সপ্তাহান্তেই এমন ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ১৯ জুন রাত থেকে ২০ জুন সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক এই গুলির ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনাই পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ জুন বেলা ১১টায় ইস্ট নিউইয়র্কের মিলফোর্ড স্ট্রিটে হাঁটছিলেন এক ব্যক্তি। আরেকজন বাড়ির সামনে গাড়ি ধোয়ার কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে তাঁদের গুলি করে দুর্বৃত্তরা। দুজনের অবস্থা সংকটজনক। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া ঘটনার আধা মাইল দূরে সড়কপথে দাঁড়ানো একজন গুলির শব্দ শুনে টের পেয়ে দেখেন তাঁর নিজের শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।
১৯ জুন বিকেলে ইস্ট নিউইয়র্কে ২৭ বছর বয়সী একজন তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ওই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে ব্রঙ্কসের ক্লিয়ারমন্ট পার্কের কাছে তিন নারীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এ ঘটনায় নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, সহিংসতা ও সংকট ব্যবস্থাপনায় বর্ধিত প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি নগরীর পুলিশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাদাপোশাকে পুলিশের টহল ও তল্লাশি থেকে এনওয়াইপিডিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা রোধে লোকবল নিয়োগ এবং কর্মসূচি পরিচালনার জন্য মেয়র ১০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছেন। জ্যামাইকা, কেনার্সি ও ক্রাউন হাইটসের মতো এলাকায় সহিংসতা বন্ধে প্রয়াস জোরদার করা হয়েছে।

শুধু মে মাসেই নগরীতে খুনের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রুকলিনের বরো প্রেসিডেন্ট এরিক অ্যাডামস। এর মধ্যে সিটি কাউন্সিল পুলিশের বাজেট থেকে এক বিলিয়ন ডলার কমিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে। অন্যান্য সামাজিক খাতে এ অর্থ ব্যয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এরিক অ্যাডামস বলেছেন, এ অর্থ সামনের দিকে ব্যয় করলে সংকট সামাল দেওয়া সহজ হবে। অপরাধ সংঘটনের আগে নানা সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কথা তিনি বলে আসছেন।