বিনোদন ডেস্ক : দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জনপ্রিয় গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসওয়ালা। ২৮ বছর বয়সি এ গায়কের মৃত্যুতে যখন তোলপাড় ভারতের বিনোদন জগত তখন অবিশ্বাস্য তথ্য আসছে তারকাদের নিয়ে।

সিধু গ্যাংস্টারদের থেকে ৪ বছর ধরে হুমকি পাচ্ছিলেন বলে তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সঙ্গীতশিল্পী মিকা সিংহ জানিয়েছেন। পরে অবশ্য কানাডার এক গ্যাংস্টার নিজেই এ খুনের দায় স্বীকার করেন। এর আগে এমন গ্যাংস্টারের খপ্পরে পড়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিংও।

গ্যাংস্টারের হুমকি থেকে মুক্তি পাননি বলিউড অভিনেতা সালমান খানও। জনসমক্ষে তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণই।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতজুড়ে লরেন্স বিষ্ণই ঘনিষ্ঠ গ্যাংস্টাররাই নাকি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার মৃত্যুর পর তদন্তে সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০১৮ সালে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে খোদ আদালতের এজলাসে বসেই হত্যার হুমকি দিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণই।

ভরা এজলাসে সালমান খানকে সরাসরি প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে কুখ্যাত এ গ্যাংস্টারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা যা করি,জানিয়েই করি। যোধপুরেই খুন করব সালমান খানকে। এখনও তো কিছুই করিনি। ’

খবরে বলা হয়, লরেন্সের সহকারী সম্পৎ নেহরাকে বিভিন্ন সময়ে সালমানের বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জেলের ঘানি টানে লরেন্সও। তাই সে যাত্রায় প্রাণ রক্ষা হয় সালমানের।

কুখ্যাত এ গ্যাংস্টারের নেটওয়ার্ক ভারতজুড়েই বিস্তৃত। পাঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং হিমাচলপ্রদেশে ছড়িয়ে আছে ৭০০-এর ওপর আততায়ী,যারা লরেন্সের হয়ে কাজ করে। ৫ রাজ্যে পুলিশকে নাস্তানাবুদ করছে সেই বাহিনী।

পাঞ্জাবি গায়ক সিধুর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত গোল্ডি ব্রারও লরেন্সের দলেরই। গত রোববার সন্ধ্যায় সিধু মুসওয়ালাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে ঘটনার দায় ইতোমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে লরেন্স।