শামীম আহসান মহাবুল্লাহ : আমার কথা!
বাংলায় অনুবাদ করা হচ্ছে আমার একটা সখের খেয়াল, ইংরেজীতে বললে হয় ঐড়ননু! চীনা ভাষার চর্চা আমার আরেকটা সখ বা হবি! ক’দিন আগে একটা চীনা উপন্যাস অনুবাদ করেছি আমি, ‘আমার রাজকীয় কর্ম জীবন’ নাম দিয়ে সেটা ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছি আমার ঋধপবনড়ড়শ বন্ধুদের উদ্দশ্যে। এবার শুরু করেছি একটা ইংরেজী বই বাংলায় অনুবাদ করা। বইটার নাম ”The Mind of God”, যার ভাবার্থ আমি করছি ‘ঈশ্বরের মন’! লেখক Paul Davies!
তিনি ইংল্যান্ডের মানুষ, পেশায় তিনি একজন পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক, অধ্যাপনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের Arizona State University-তে। বইটা আমার হাতে এসেছিলো —- বেশ ক’বছর আগে, পড়েছিলাম তখনই। পরে ওবায়েদ চাচাকে দিয়েছিলাম, ওবায়েদ চাচা বইটা পড়ে খুব খুশী হয়ে আমাকে বলেছিলেন, “শামীম এই বইটা বাংলায় অনুবাদ করতে পারলে বেশ হতো!”
ওবায়েদ চাচা চলে গেছেন না ফেরার দেশে! তাও বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে। মূলত তাঁকে স্মরণ করে বইটার অনুবাদের কাজে হাত দিয়েছি আমি। প্রথমে আসছে মুখবন্ধ বা Preface, যেখানে আছে লেখকের নিজস্ব কিছু কথা, যা আসলে মূল গ্রন্থের অংশ নয়। আমি তুলে ধরছি, Preface এর আংশিক অনুবাদ!
“আমার শিশু কালে আমি আমার বাবা-মাকে প্রায়ই বার বার বিরক্ত করতাম ‘কেনো?’ এই প্রশ্ন করে। কেনো আমি বাইরে খেলতে যেতে পারবো না? কারণ বৃষ্টি হতে পারে। কেন বৃষ্টি হতে পারে? কারণ আবহাওয়া অফিস এমন কথাই বলেছে। কেনো আবহাওয়াবিদ এমন কথা বলেছেন? কারণ ফ্রান্সের দিক থেকে ঝড় ধেয়ে আসছে। কেনো ঝড় আসছে …..? এবং আরও প্রশ্ন! এই অবিরাম প্রশ্নের উত্তরের পালা সাধারণত শেষ হতো একটা নিষ্পত্তিহীন কথায়, “Because God made it that way and that’s that! (কারণ আল্লাহ তা’য়ালা এ ভাবেই করেছেন, আর তাই এমনটা হচ্ছে!)” (মুখবন্ধের আংশিক অনুবাদ)
আমার শিশু কালের উপলব্ধি ছিলো (যা কিনা তীক্ষ্ণ দর্শনিক চিন্তার চেয়ে বরং একঘেয়েমি থেকেই বেশী এসেছিলো), কোন ঘটনার ব্যাখ্যা ও এর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিজেই একটা ব্যাখ্যার দাবীদার, আবার যা কিনা একটা শিকলের ধারার মতো চলতে থাকে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। আর এই ব্যাপারটা সেই শিশু কাল থেকেই আমাকে চিন্তিত করে আসছে। এই ব্যাখ্যার ধারাবাহিকতা কি কোন এক জায়গায় গিয়ে থামবে? হয়তো বা এটা কি ঈশ্বর পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে? কিংবা আছে কি প্রকৃতির কোন মহা সূত্র যেখানে আছে এর পরিসমাপ্তি? যদি তাই হয় তবে চূড়ান্ত পরিসমাপ্তির মহা ব্যাখ্যা কিভাবে, নিজেকে ব্যাখ্যা করার বিষয়টা এড়িয়ে যেতে পারবে? সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় ‘ওটা” চিরকাল কি “ওটাই” ছিলো? (In short, can “that” ever be “that”?)
জগৎ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের শ্বাসরুদ্ধকর উত্তর দেয়ার সক্ষমতা বিজ্ঞানের আছে, এই ব্যাপারটা সম্পর্কে আমার এমন উপলব্ধি হয় যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকি ছাত্র হিসাবে। যে কোন বিষয়কে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সক্ষমতা এতটাই চোখ ধাঁধানো যে, আমার কাছে এটা খুব সহজেই মনে হতো যে, যদি পর্যাপ্ত সম্পদ-এর যোগান থাকে বা সেটা সরবরাহ করার সক্ষমতা থাকে, তবে এই মহাবিশ্বের সব অজানা রহস্যই উদঘাটন করা সম্ভব। তবুও এখন পর্যন্ত বার বার ফিরে আসছে সেই উদ্বিগ্নতার প্রশ্ন, “কেনো, কেনো, কেনো…..?”! এই মহান ব্যাখ্যা প্রকল্পের মূলে কি আছে? কি বিষয় এটাকে সবার উপরে টেনে তুলছে? আছে কি কোন চূড়ান্ত পর্যায় এবং যদি থেকে থাকে তবে ওটা কোত্থেকে এসেছে? আছেন কি এমন কেউ যিনি সন্তুষ্ট হবেন, “ওটা’র জন্যই ঐটা”, এ রকম কোন ব্যাখ্যায়? (Could one be satisfied with a ” that’s-that” explanation?) (ক্রমশ)
পরবর্তী বছর গুলোতে আমি গবেষণা শুরু করেছিলাম কতগুলো বিষয়ে, যেমন মহাবিশ্বের উৎপত্তি, সময়-এর প্রকৃতি এবং পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র গুলোর একতাবদ্ধকরণ, আর আমি নিজেকে খুঁজে পেলাম এমন এক অঞ্চলে যেটা কিনা শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত ধর্মের প্রায় একচেটিয়া প্রদেশ হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এখনও এখানে বিজ্ঞান হয়, সমাধান প্রদান করছে অবশিষ্ট রয়ে যাওয়া অন্ধকারাচ্ছন্ন রহস্য গুলোর, অথবা এতদভিন্ন আবিষ্কার করছে যে, ঐ রহস্য গুলো যে মতবাদ সমুহ থেকে নিজেদের ক্ষমতা অর্জন করেছে, সেগুলো প্রকৃত পক্ষে অর্থহীন কিংবা, এমন কি ভ্রান্তি পূর্ণ! আমার গ্রন্থ God and the New Physics (যার ভাবার্থ হতে পারে ‘ঈশ্বর ও নতুন পদার্থ বিজ্ঞান’), হচ্ছে এই মতাদর্শগুলোর মাঝে বিদ্যমান দ্ব›দ্বগুলোকে জোর করে আঁকড়িয়ে ধরে বিবৃত করার প্রথম প্রয়াস। আর The Mind of God হচ্ছে একই উদ্দেশ্যে বিবেচিত খানিকটা বর্ধিত প্রচেষ্টা! (ক্রমশ)
প্রথম গ্রন্থ প্রকাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত মৌলিক পদার্থ বিজ্ঞানের পুরোভাগে আবির্ভূত হয়েছে অনেক গুলো নতুন ধারণা ও চিন্তা ভাবনা : the Superstring theory (যার ভাবার্থ হতে পারে অতি সূ² তন্তুর তত্ত¡) এবং তথাকথিত Theories of Everything (বাংলায় বললে, সব কিছুর নীতি মালা)-এ পৌঁছাবার অনন্য প্রচেষ্টা সমূহের নীতি-পদ্ধতি! quantum cosmology (যার ভাবার্থ হতে পারে সংখ্যা ভিত্তিক সৃষ্টি তত্ত¡)-এর মাধ্যমে কিভাবে শূন্যতা থেকেই মহাবিশ্বের আবির্ভাবকে ব্যাখ্যা করা, “কাল্পনিক সময় (imaginary time)” -এর উপর স্টিফেন হকিং (Stephen Hawking)-এর করা কাজ এবং সৃষ্টি তত্তে¡র প্রারম্ভিক শর্তসমূহ (cosmological initial conditions), বিশৃঙ্খলা তত্ত¡ (Chaos theory) এবং স্বসংগঠিত ব্যবস্থাসমূহের ধারণা ও মতবাদ এবং গণনা তত্তে¡র অগ্রগতি ও জটিলতা! এর বাইরেও এমন কিছু গবেষণা করার আগ্রহের পুনরুত্থান হয়েছে যা কিনা হয়তো স্থুল ভাবে বিজ্ঞান ও ধর্ম এই দুই বিষয়ের মিলন স্থল হিসাবে বর্ণনা করা যায়। এ ব্যাপারে বেছে নেয়া হয়েছে দু’টো সুস্পষ্ট ধরন (forms)। প্রথমত, সৃষ্টির ধারণা এবং বিষয় সমূহের ব্যাপারে ধর্মতত্ত¡বিদ, দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে সংলাপের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রাচ্যের দর্শন এবং রহস্যময় চিন্তা ভাবনার প্রতি বেড়ে যাওয়া হুজুগের প্রতি আকর্ষণ, কোন কোন আলোচক যেগুলোকে পদার্থ বিজ্ঞানের মূল ভিত্তির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত বলে দাবী করেছেন। (ক্রমশ)
একেবারে শুরুতেই আমার নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করতে চাচ্ছি। একজন পেশাদার বিজ্ঞানী হিসাবে, জগতকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধানে আমি পুরপুরি নিবেদিত। আমি বিশ্বাস করি, বিজ্ঞান হচ্ছে একটা নিরতিশয় শক্তি শালী পদ্ধতি যা আমাদেরকে সাহায্য করে উপলব্ধি করতে, এই জটিল মহাবিশ্বকে যেখানে আমরা বসবাস করছি। ইতিহাস দেখাচ্ছে যে, এর সফলতা ব্যাপক আর বিশাল সংখ্যক এবং কদাচিত এমন কোন সপ্তাহ আসে না যখন বিজ্ঞানের কোন না কোন অগ্রগতির কাজ হয় না। যা-ই হোক, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির আকর্ষণ শক্তি, এর বিশাল ক্ষমতা ও কর্ম পরিধিকে ছাড়িয়ে গেছে। আরও আছে এর আপসহীন সততা। প্রতিটা নতুন আবিষ্কার, প্রতিটা তত্ত¡কে গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হতে হয় বিজ্ঞানী স¤প্রদায়ের কঠোর আর যথাযথ অনুমোদনের। অবশ্যই বাস্তব জীবনে, বিজ্ঞানীরা সর্ব ক্ষেত্রেই যে পাঠ্য পুস্তক নির্দেশিত কৌশল অনুসরণ করেন, তা কিন্তু নয়! কখনও কখনও তথ্য উপাত্ত গুলো হয় গোলমেলে, অস্পষ্ট সন্দেহজনক। কখনও কখনও প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের প্রস্তাবিত দ্বিধা গ্রস্থ আর অনিশ্চিত তত্ত¡ সমুহ টিকে থাকে দীর্ঘ দিন, পরিত্যক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত! মাঝে মাঝে বিজ্ঞানীরা প্রতারণা করেন। কিন্তু এগুলো হচ্ছে নীতি ভ্রংশ, স্খলন, বিপথে গমন। মূলত বিজ্ঞান আমাদের বিশ্বস্ত নির্ভুল জ্ঞানের দিকেই পরিচালিত করে। (ক্রমশ)
আমি সব সময়ই বিশ্বাস করতে চাইতাম যে, বিজ্ঞান সবকিছুকেই, অন্তত পক্ষে নীতিগত ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। অনেক অবিজ্ঞনীরা এমন দাবীকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। বেশীর ভাগ ধর্মই অন্তত কিছু কিছু হলেও অতি প্রকৃতিক ঘটনাকে বিশ্বাস করতে উদ্ভুদ্ধ করে। যা কিনা, সংজ্ঞার দিক থেকে বিবেচনা করলে, বিজ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গতিতে আনা অসম্ভব। আমি বরঞ্চ অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা গুলো ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করতে চাইনা! যদিও স্পষ্টতই আমি প্রমাণ করতে পারবো না যে ঐ ঘটনা গুলো কখনও-ই ঘটে না। তবে আমি ঐ ঘটনাগুলো ঘটার কোন কারণ অনুমান করতে পারিনা। প্রকৃতির নীতি-সূত্র গুলো সব সময়ই সমুন্নত আর অক্ষুন্ন থাকবে, এমনটা অনুমান করতেই আমি পছন্দ করি! কেউ যদি অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাগুলোকে উড়িয়েও দেন, তা সত্বেও ঐ মানুষটা এটা পরিষ্কার করে বলতে পারবেন না যে, ভৌত মহাবিশ্বের সব কিছুর ব্যাখ্যাই বিজ্ঞান নীতিগতভাবে করতে পারবে! বিশদ ব্যাখ্যামূলক শিকলের শেষ প্রান্তে সেই পুরনো সমস্যাটা থেকেই যাবে। (ক্রমশ)
আমাদের বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যার যত সাফল্যই থাকুক না কেনো, সেই ব্যখ্যাগুলোতে সব সময়ই একটা প্রারম্ভিক অনুমান গড়ে নিতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পদার্থ বিজ্ঞানের সাপেক্ষে কোন ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য দৃশ্যমান বিষয়ের ব্যখ্যা দেয়ার সময় পূর্বাহ্নেই মেনে নেয়া হয় পদার্থ বিদ্যার সূত্র গুলোর বৈধতাকে, যা কিনা ইতিমধ্যেই বিদ্যমান আছে, এমনটাই ধরে নেয়া হয়। কিন্তু কেউ তো প্রশ্ন করতেই পারে, প্রথম ক্ষেত্রে (first place)-র বেলায় এই সূত্রগুলো কোত্থেকে এসেছে। আবার যে তর্কের উপর দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানের যুক্তি গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটার ভিত্তি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে। কিছুটা আগে কিংবা খানিকটা পরে, আমাদেরকে গ্রহণ করতেই হবে যে কিছু একটা দেয়াই ছিলো, এটা হতে পারেন ঈশ্বর স্বয়ং অথবা হতে পারে কতগুলো যুক্তি অথবা কতগুলো নীতিমালা, অথবা অন্য কোন ভিত্তি যা আসে অস্তিত্বের নিমিত্তে! এইভাবে “চূড়ান্ত” প্রশ্নাবলী সব সময়ই গবেষণা মূলক বিজ্ঞানের কর্ম পরিধির সাধারণ সংজ্ঞার বাইরেই থাকে! অর্থাত বাস্তবের গভীরে থাকা অস্তিত্ব বিষয়ক প্রশ্নাবলীর কোন উত্তর নাই, তাই নয় কি? (ক্রমশ)
আমার গ্রন্থের অধ্যায় আর অনুচ্ছেদ শিরোনাম গুলো অন্বেষণ করতে গিয়ে আমি লক্ষ্য করেছি, সেখানে আছে ভয়ঙ্কর সব প্রশ্ন সমূহ । প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এর উত্পত্তি রচনা শৈলী সংক্রান্ত, আমারই নির্বুদ্ধিতা মূলক অনুপযুক্ততা! কিন্তু এখন আমি উপলব্ধি করি আসলে এটা আমার সহজাত বিশ্বাসের প্রতিফলন, যা উত্তরাধিকার সূত্রে আমার কাছে এসেছে আমাদের সেই আদিকালের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে। মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে থাকতেই হবে কিছু রহস্য, তাই “সব কিছুর নীচে যাওয়া (get to the bottom of all)”, নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার সামর্থ্য আদিকালের মানুষ Hemo sapiens- এর ছিলো না। চিন্তার জগতে ওরা তো ছিলো দরিদ্র। যুক্তির পথ ধরে একটা সীমারেখার অন্বেষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন কি একটা প্রমাণও যদি খুঁজে পাওয়া যায়, যার ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে একটা অসমাপ্ত অনুমানের ধারার উপর, সেটাও প্রণিধানযোগ্য মূল্যবান। গণিতের জগতে এ রকম ব্যাপর ইতিমধ্যেই আবির্ভূত হয়েছে, যা পরে আমারা দেখতে পাবো, আমাদের সামনে আসবে। (ক্রমশ)
অনেক পেশাদার বিজ্ঞানী আছেন যারা ধার্মিক মানুষ। আমার গ্রন্থ God and the New Physics প্রকাশ করার পর, আমি খুব বিস্ময়ের সাথে আবিষ্কার করে গণনা করেছি, বিজ্ঞান জগতে আমার কতো জন সহযোগী আছেন যারা কোন না কোন গতানুগতিক প্রচলিত ধর্মের চর্চা করেন! কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের জীবন ধারা নিয়ে ওনারা দুটি পৃথক দৃষ্টি ভঙ্গি বজায় রাখছেন। যেন সপ্তাহে ছয় দিন ওনাদের জীবনকে শাসন করবে বিজ্ঞান, আর ধর্মের শাসন থাকবে শুধু রোববারে! যদিও অল্প সংখ্যক বিজ্ঞানী কঠোর ও আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞান ও তাদের চর্চা করা ধর্মকে একটা ঐক্যতানে নিয়ে আসার জন্য।
ফলস্বরূপ, এটা এক দিকে সাধারণত গ্রহণ করে খুবই উদার ধর্মীয় মতবাদ এবং অন্য দিকে সিক্ত করে জগতের ইন্দ্র গ্রাহ্য ভৌত বিষয় সমুহকে এমন তাত্পর্যে, যা কিনা তাদের অনেক সহযোগী বিজ্ঞানীর কাছে মোটেও আকর্ষণীয় নয়! (চলবে)