অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ চার কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
বাম থেকে চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ রাজা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফরিদুর রহমান খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান ও চিফ ক্লিনিক্যাল গভর্নেন্স ডা. আবু সাঈদ এমএম রহমান

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত চার জন হলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ রাজা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফরিদুর রহমান খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান ও চিফ ক্লিনিক্যাল গভর্ন্যান্স ডা. আবু সাঈদ এমএম রহমান।

উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গত ২৭ মে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আগুন এবং এতে পুড়ে পাঁচ জন রোগী নিহতের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন ইতোমধ্যে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়েছে। গত ১৪ জুন আদালতেও প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়-

১। অগ্নিকাণ্ডের কী কারণ ছিল?

২।অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কিনা?

৩। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের উদ্ধারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল?

৪। আগুন প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তা উল্লেখ ছিল প্রতিবেদনে।
ঘটনার ২০ দিন পরও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মামলার তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ঠিক। কিন্তু মামলার আসামিদের দেশত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন মামলার তদন্ত হবে। এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৩ জুন আগুনে মারা যাওয়া ভেরন অ্যান্থনি পলের মেয়ের জামাই রোনাল্ড নিকি গোমেজ বাদী হয়ে গুলশান থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। এতে ইউনাইটেড হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তা ও দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আাসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আগুনে পুড়ে পাঁচ রোগীর মারা যান। তারা হলেন, মোহাম্মদ মাহবুব (৫০), মনির হোসেন (৭৫), ভেরন অ্যান্থনি পল (৭৪), খোদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল আলম (৫০)।

ছবি: হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।