অনলাইন ডেস্ক : ২৪ ঘণ্টার শনাক্তের রেকর্ডে কানাডাকে অতিক্রমের পথে বাংলাদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন আরও চার হাজার ৮ জন। আর ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৩০৫ জনে। দেশে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। এদিকে ওয়ার্ল্ডো মিটারের হিসাবে কানাডায় আজকে পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৪৬৭ জন। আর মাত্র ৯৭৮ জন শনাক্ত হলেই বাংলাদেশ কানাডাকে অতিক্রম করবে। এদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯২৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।

বুধবার (১৭ জুন) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ২১-৩০ বছরের একজন, ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে একজন, ময়মনসিংহে ২ জন এবং রংপুর বিভাগে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫ জন। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন।

অধ্যাপক নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭১৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৬৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৩ হাজার ৪১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮২০ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩০ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৪৯০ জন।