বিনোদন ডেস্ক : মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আত্মঘাতী হলেন বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত।

পাটনায় ছোটবেলা কেটেছে সুশান্তের। চার বোনের পর এক ভাই। বাবা-মা, দিদিদের বড় আদরের। অত্যন্ত মেধাবী সুশান্ত পড়াশোনায় কখনো দ্বিতীয় হননি। স্বাভাবিকভাবেই স্কুল শেষ করে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় যখন সপ্তম হয়ে সুশান্ত দিল্লি ইঞ্জিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলেন কেউ আপত্তি করেনি। সুদর্শন, অত্যন্ত হ্যান্ডসাম ছেলেটির জন্য সেই সময়ই পাগল ছিল মেয়েরা।
কিন্তু সুশান্তের প্যাশন ছিল নাচ। নাচতে অসম্ভব ভালো পারতেন তিনি। আর ছেলের এই গুণের কদর করতেন মা, সুশান্তের ষোলো বছর বয়সে যে মা তাকে ছেড়ে চলে যান। তাই কি চূড়ান্ত অবসাদের মুহূর্তে প্রয়াত মাকে উদ্দেশ্য করে সুশান্ত লিখেছিলেন, মা আমি বড় ক্লান্ত! বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়া নয়, সুশান্তকে হাতছানি দিতো বলিউড। নায়কোচিত চেহারা। ম্যানারিজম আর ফিজিক্যাল ফিটনেস। বন্ধুরাও বলতো বলিউড সুশান্তের আসল ঠিকানা। দিল্লির কমনওয়েলথ গেমসে নাচের একটি অনুষ্ঠানে মুম্বইয়ের প্রথম সারির কোরিওগ্রাফার সমক দাভরের চোখে পড়ে যান সুশান্ত। মুম্বই গিয়ে নাচের তালিম নিতে শুরু করেন তার কাছ থেকে। রিয়ালিটি শো ‘ঝলক দিখলা যা’ হয়ে একতা কাপুরের ‘পবিত্র রিস্তা’ সিরিয়ালে লিড রোল মানব এর চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন সুশান্ত। সিরিয়ালের নায়িকা অর্চনার ভূমিকায় থাকা অঙ্কিতা লোখান্ডের সঙ্গে প্রেমের স্ফুরণ হয় সুশান্তের। এর পর লিভ ইন সম্পর্কে একে অপরের জীবনে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। সাত বছর সম্পর্কিত ছিলেন তারা।
সিরিয়ালের দম্পতি মানব-অর্চনা যেন বাস্তবেও দম্পতি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুশান্ত ‘কাই পো চে’ ছবিতে নায়ক হওয়ার পর সম্পর্ক ভাঙে। সেই প্রথম সুশান্ত টের পান অবসাদ কাকে বলে। অঙ্কিতার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর নিদারুণ একাকিত্বে ভোগেন সুশান্ত। এই সময় তার জীবনে আসেন বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। দুই বিপরীতমুখী চরিত্রের মিলন হয়। সুশান্ত ইন্ট্রোভার্ট, কৃতি এক্সট্রোভার্ট। সুশান্ত যখন আকাশের তারাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। কৃতি তখন পার্টি করতে চান। সম্পর্ক বেশিদিন টিকলো না। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন দুজন। জীবনে দ্বিতীয়বারের জন্য গভীর অবসাদে ডুবলেন সুশান্ত। আর এই সময়ই তার জীবনে এলেন প্রবাসী বাঙালি কন্যা রিয়া চক্রবর্তী। এই সম্পর্কই কি সুশান্ত কে ভেঙে খান খান করে দিলো?