সোনা কান্তি বড়ুয়া : মনুষ্যত্বের পুন্য বাঁধনে মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় কাশ্যপবুদ্ধের (ধর্মপদ, গাথা ১৯৫, ১৯৬) বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন উক্ত বৈদিকপূর্ব বৌদ্ধ চক্রবর্তি (Universal) রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো বোধিসত্তে¡র প্রত্নতাত্তি¡ক নিদর্শন! প্রত্নতাত্তি¡ক নিদর্শন সিন্ধুসভ্যাতা কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের প্রত্নতাত্তি¡ক ইতিহাস মনুষ্যত্বের বাঁধনে মহাকালের বিবর্তনের ধারায় সিন্ধু প্রদেশে প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরানো সিন্ধুসভ্যতার মহেঞ্জোদারো শীর্ষক মহানগরে এই বৈদিকপূর্ব চক্রবর্তি রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো বোধিসত্তে¡র প্রত্নতাত্তিক সন্ধান! এবং বৌদ্ধ ত্রিপিটকের মধ্যম নিকায়ের মাগন্দিয় সূত্রে (সূত্র নম্বর: ১৭৫)

গৌতমবুদ্ধ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “পূর্বের বুদ্ধগণ আরোগ্য পরম লাভ এবং নির্বান পরম সুখ সম্বন্ধে যেই শিক্ষা দিয়েছিলেন বর্তমানে সেই শিক্ষা সমূদয় জনসাধারনের মধ্যে প্রচলিত হয়ে রয়েছে।” ভাষা ও সংস্কৃতির বৈদিক ধর্ম পন্থী আর্য্যদের রাজা ইন্দ্র মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার প্রাগৈতিহাসিক কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেছিলেন! লেখক স্বপন বিশ্বাসের লেখা ইংরেজি বই ‘বৌদ্ধধর্ম’ মহেঞ্জোদারো হরপ্পার ধর্ম (কলিকাতা ১৯৯৯)!

দেশ পত্রিকার লেখক দীপঙ্কর রায়ের মতে, “গীতায় একজন বুদ্ধিমান আরেকজন অপেক্ষাকৃত অল্প বুদ্ধিমানকে হত্যায় প্ররোচিত করছেন। এই প্ররোচনার ফলে মানুষ নিহত হয়েছিলেন অগণ্য। এর পর হাজার বছর ধরে সেই প্ররোচনামূলক গ্রন্থটিকে একটি জাতির মহান গ্রন্থ বলে জাহির করে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি অর্থাৎ কায়েমি স্বার্থকে টিকিয়ে রাখার চেষ্ঠা চলেছে (দেশ, কোলকাতা, জুন ২২, ১৯৯১)।”

ভারতের বিহার সরকার ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতীত বৌদ্ধদেরকে তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব এই সহজ কথাটি পর্যন্ত ভুলে গেছে। বুদ্ধ গয়ার মতো ভারতে জৈন, মুসলমান, শিখ এবং খৃষ্ঠান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন হিন্দু সদস্য নেই। বৌদ্ধদের তিরুপতি বালাজী মন্দির এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দির হিন্দু রাজনৈতিকগণ দখল করার পর গৌতমবুদ্ধকে হিন্দু রাজনীতির ভগবান বা অবতার বলে বৌদ্ধধর্মকে হিন্দু রাজনীতি তিলে তিলে কিডন্যাপ করেছেন। হিন্দু মৌলবাদী সেনাবাহিনী বেঈমানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সন্ন্যাসীর রুপ ধরে শত শত বছর পর্যন্ত ত্রিশূল দিয়ে সর্বত্র ভারতীয় বৌদ্ধগণকে হত্যা করেছে।

প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে বৈদিক ইন্দ্ররাজার বিরুদ্ধে সিন্ধুসভ্যাতার বৌদ্ধদের মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধদর্শনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ বৈদিক সাহিত্যে বিরাজমান! অষ্ঠবিংশতি বুদ্ধ বন্দনার আলোকে ভারতে হিন্দুধর্মের পূর্বে কাশ্যপব্দ্ধুর বৌদ্ধধর্ম এবং ঋগে¦দের Rigveda (প্রথম বেদ) Sources (১/১০৫/৮ ও ১০/৩৩/২) মতে (দেশ, Page 14, কোলকাতা, 01 November 1999 Mr. Somanath Roy and Page 117, Mr. Nri Singh Prasad Bhaduri) বৈদিক ধর্ম পন্থী আর্য্যদের রাজা ইন্দ্র মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেছিলেন! ফলে মানুষ নিহত হয়েছিলেন অগণ্য। হিন্দু রাজনীতির দাদারা বৌদ্ধ ধর্মকে কবর দেবার পর (দেশ, ৪ মে ২০০১ কলিকাতা পৃষ্ঠা ১২), যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম “নামক (প্রবীর ঘোষ ও ওয়াহিদ রেজা সম্পাদিত) গ্রন্থে পল্লব সেনগুপ্তের লেখা “ধর্ম ও ভারতবর্ষ : আদিপর্বের রূপরেখা” প্রবন্ধে (দেশ, Page 13, কোলকাতা, 13 May 1993) প্রত্নতাত্তি¡ক গবেষণায়এই সিন্ধু প্রদেশে প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ নিদর্শনের ইতিহাস থেকেই প্রাগৈতিহাসিক মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় বৈদিক ইন্দ্ররাজার বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞে “ইন্দ্ররাজাকে যুযুধান আর্যভাষী নায়করূপে দেখা যায় যিনি : (ক) স্বয়ং বোধিসত্ত¡ ঊষাহিন্দুরাজনীতির দেবীকে ধর্ষণ করেছিলেন; (খ) বৌদ্ধ ভিক্ষু ও বোধিসত্বদের(যতি-দের ) নিধন করে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। (গ) মুরদেবাঃ- শিশ্মদেবাঃদের নগরী লুণ্ঠন করেছিলেন; (ঘ) দাসরাজাদের পুরনারীদেরকে গণধর্ষণে বিধ্বস্ত করার নেতৃত্ব করেছিলেন; (ঙ) হরিযুপীয়া (হরোপ্পা) নগরের উপকন্ঠে দাসবংশীয় রাজন্যবর্গ ও সৈন্যদেরকে ধ্বংস করেছিলেন; (চ) বৃত্র নামক ত্রিশীর্ষ অসুরকে বধ করেছিলেন; (ছ) কৃষ্ণত্বক দাস-অহি বংশীয়দের পৃষ্ঠত্বকউন্মীলন করেছিলেন; (জ) দাসবংশীরা গর্ভিনী নারীদের হত্যা করেছিলেন; (ঝ) শতদ্বারযুক্ত প্রস্তুরনির্মিত নগরীসমূহ ভস্মসাৎ করেছিলেন!

আমার লেখষ PRE-VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM AND MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE শীর্ষক ৫১৬ পৃষ্ঠার ইংরেজি বই প্রকাশিত হয়েছে। রাজর্ষি বোধিসত্তে¡র প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন প্রাগৈতিহাসিক ভারতের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়, তবে শুধু বৌদ্ধ সভ্যতা নয়, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির আদি উৎস পর্যায়ের এক অজানা দিক উন্মোচিত হবে, ইতিহাসে সংযোজিত হবে এক অজানা অধ্যায়। স্মৃতি হিসেবে স্থাপিত হবে ঐতিহাসিক নির্দশন এবং আবারো পৃথিবীর ধর্মযাজক ও পর্যটকদের পা পড়বে সিন্ধু প্রদেশের মহেঞ্জোদারো মহানগরে! ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে “বৈশাখী পূর্ণিমা” শীর্ষক কবিতায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৌদ্ধকবি হয়ে লিখেছিলেন,
“সকল কলুষ তামস হর’ জয় হোক তব জয়!
অমৃক বারি সিঞ্চন কর’ নিখিল ভুবন ময়।
জয় হোক তব জয়!
মহাশান্তি মহাক্ষেম,
মহা পুণ্য, মহা প্রেম!”
জ্ঞানসূর্য উদয় ভাতি
ধ্বংস করুক তিমির রাতি,
দুঃসহ দুঃস্বপ্ন ঘাতি’ অপগত কর ভয়।
জয় হোক তব জয়।
মোহ মলিন অতি দুর্দ্দিন, শঙ্কিত চিত্ত পান্থ,
জটিল গহন পথ সঙ্কট সংশয় উদভ্রান্ত।
করুনাময়, মাগি শরন,
দুর্গতিভয় করহ হরণ;
দাও দুঃখ বন্ধ তরণ মুক্তির পরিচয়।
জয় হোক তব জয়।”

১৯২২ সালে রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায় সিন্ধু প্রদেশের (পাকিস্তান), সিন্ধু নদী থেকে কয়েশ’ মাইল দূরে) জমি থেকে ২২ মিটার উঁচু হাইমাউন্ডে অবস্থিত বিরাটকায় বৌদ্ধ স্তুপটি দেখেই তিনি উক্ত এলাকা খনন করে প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরানো সিন্ধুসভ্যতার মহেঞ্জোদারো শীর্ষক মহানগরের সন্ধান পেয়েছিলেন (বিবর্ণ সিন্ধু, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০০৬, ভোরের কাগজ, ঢাকা)। তথাগত গৌতমবুদ্ধের মতে, “আমি প্রাচীন বুদ্ধগণের আর্য্য অষ্ঠাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করে ধর্ম প্রচার করি (নিদান সংযুক্ত, নিদান বর্গ, সংযুক্ত নিকায়)” এবং গৌতমবুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের সাথে মহেঞ্জোদারো হরপ্পার কাশ্যপ বুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের সম্বন্ধ বিরাজমান। মহেঞ্জোদারোর বাইরের দেওয়ালে বৌদ্ধ জাতকের ষাঁড়, হাতি, হাড়ের গয়না, প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন বিদ্যমান।

হিন্দুধর্মের পূর্বে মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ ইতিহাসে বিবিধ প্রসঙ্গ! বৈদিক রাজা ইন্দ্র প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধ নগরদ্বয় মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা ধ্বংস করার পর প্রাচীন ভারতে বৈদিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (লেখক স্বপন বিশ্বাসের লেখা ইংরেজি বই ‘বৌদ্ধধর্ম’ মহেঞ্জোদারো হরপ্পার ধমর্, কলিকাতা ১৯৯৯)! মহেঞ্জোদারো কাশ্যপবুদ্ধের ইতিহাস এবং বৌদ্ধ প্রত্নতত্ত¡ নিদর্শনে স্থাপত্যশৈলীতে ধ্যানমগ্ন রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো বোধিসত্ত¡ (Maha Sudarshan in the Mahhaparinibbana Sutta) বিরাজমান! নেপালে কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধনাথ্ শীর্ষক বিরাটকায় বৌদ্ধ স্তুপ Kathmandu (কাঠমান্ড়ু) নগরে বিরাজমান১

বৈদিক পূর্ব ভারতে প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ ইতিহাস! কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের স্মারকমালা প্রত্নতাত্তি¡ক ধারায় সিন্ধুসভ্যতায় মানুষের দেশ মানুষের মনেরই সৃষ্টি! হিন্দু রাজনীতির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মহেঞ্জোদারো মিউজিয়ামে ধ্যানমগ্ন রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো (Maha Sudarshan) বোধিসত্ত¡ বিরাজমান! প্রায় ৫ হাজার পূর্বে বৈদিক রাজা ঈন্দ্র কাশ্যপব্দ্ধুর প্রচারিত বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেছিলেন এবং মহাকালের বিবর্তনের ধারায় সিন্ধুসভ্যতায় মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ নির্দশন (Punjab প্রদেশ) বিরাজমান! মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পায় বৈদিক ইন্দ্ররাজার বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ! বৈদিক রাজা ইন্দ্র প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধ নগরদ্বয় মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা ধ্বংস করার পর প্রাচীন ভারতে বৈদিক (হিন্দুধর্ম) সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (লেখক স্বপন বিশ্বাসের লেখা ইংরেজি বই ‘বৌদ্ধধর্ম’ মহেঞ্জোদারো হরপ্পার ধমর্, কলিকাতা ১৯৯৯)!

খৃষ্ঠপূর্ব ১৫০০ বছর পূর্বে ঋগে¦দের (প্রথম বেদ; ১/১০৫/৮ ও ১০/৩৩/২) মতে বৈদিক ধর্ম পন্থী আর্য্যদের রাজা ইন্দ্র মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেন। প্রাচীনতম বেদ হল ঋগে¦দ, (Rigveda) যার পদ্যে রচিত সংহিতার দশটি মন্ডলে ১০২৮টি সূত্র আছে। অষ্ঠবিংশতি ব্দ্ধু বন্দনার আলোকে ভারতে হিন্দুধর্মের পূর্বে কাশ্যপব্দ্ধুর বৌদ্ধধর্ম এবং ঋগে¦দের Rigveda (প্রথম বেদ) Sources (১/১০৫/৮ ও ১০/৩৩/২) মতে (দেশ, Page 14, কোলকাতা, 01 November 1999 Mr. Somanath Roy and Page 117, Mr. Nri Singh Prasad Bhaduri) বৈদিক ধর্ম পন্থী আর্য্যদের রাজা ইন্দ্র মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেছিলেন! ফলে মানুষ নিহত হয়েছিলেন অগণ্য।

প্রায় ৫ হাজার পূর্বে বৈদিক রাজা ঈন্দ্র কাশ্যপব্দ্ধুর প্রচারিত বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস করেছিলেন এবং মহাকালের বিবর্তনের ধারায় মহেঞ্জোদারো সিন্ধুসভ্যতায় প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ নির্দশন হরপ্পায় (Punjab প্রদেশ) কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের স্মারকমালায় মানুষের দেশ মানুষের মনেরই সৃষ্টি! হিন্দুধর্মের পূর্বে মহেঞ্জোদারোর হিন্দু রাজনীতির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মহেঞ্জোদারো মিউজিয়ামে ধ্যানমগ্ন রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো (Maha Sudarshan) বোধিসত্ত¡ বিরাজমান! Great Poet Kalidas Kastahari জাতককে (৭) বদলায়ে Shakuntala বানিয়েছে! শ ত শ ত জাতককে বদলায়ে Mr. Somadeva Betal Panchabingsati বানিয়েছে! হিন্দুধর্মের পূর্বে মহেঞ্জোদারোর প্রত্নতাত্তি¡ক বৌদ্ধ ইতিহাস!

সিন্ধুসভ্যতায় কাশ্যপবুদ্ধের বৌদ্ধ সংস্কৃতির সর্বভারতীয় নৈতিক শক্তিকে বৈদিক জাতিভেদ প্রথা ধ্বংস করার ফলে আজ ভ্রষ্ঠাচারের দহনে করুন রোদনে তিলে তিলে ভারতসহ দক্ষিন এশিয়ার জনতা ক্ষয় হচ্ছে। মানবাধিকারই বৌদ্ধ সাহিত্য এবং ধর্মের মূলমন্ত্র। বৈদিক পন্থী ব্রাহ্মণগণ ত্রিপিটকের অন্তর্গত চারি আর্য্যসত্য, প্রতীত্য সমুৎপাদের (কার্য কারন মহা প্রবাহ প্রণালী) বিশ্ববিদ্যা কল্পদ্রুম এবং অষ্ঠবিংশতি বুদ্ধ বন্দনায় বুদ্ধবংশের বুদ্ধ বচনকে উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণ্যবাদের দ্বারা রচিত নবম অবতার নামক খাঁচায় গৌতমবুদ্ধের ইতিহাসকে বন্দী করে বুদ্ধগয়ায় শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর আদেশে উক্ত শিবলিঙ্গ বুদ্ধগয়ার মহাবোধি মন্দির থেকে সরিয়ে নেওয়া হল!
পবিত্র পালি ত্রিপিটকের দীর্ঘ নিকায়ের চক্কবত্তি সীহনাদ সূত্তান্ত (৩য় খন্ড ২৬ নং সূত্র) অনুসারে বৈদিকপূর্ব চক্রবর্তি রাজর্ষি বোধিসত্তে¡র ছবি এবং সুত্তনিপাতের ৩ নম্বর খ¹বিষাণ সূত্রানুসারে গন্ডারের ছবি মহেঞ্জোদারোর মিউজিয়ামের বাইরের দেওয়ালে বিশাল রেপিকায় বিরাজমান। বৈদিক রাজা ইন্দ্র প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধ নগরদ্বয় মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা ধ্বংস করার পর প্রাচীন ভারতে বৈদিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন! তথাগত গৌতমবুদ্ধের মতে, “আমি প্রাচীন বুদ্ধগণের আর্য্য অষ্ঠাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করে ধর্ম প্রচার করি (নিদান সংযুক্ত, নিদান বর্গ, সংযুক্ত নিকায়)” এবং গৌতমবুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের সাথে মহেঞ্জোদারো হরপ্পার কাশ্যপ বুদ্ধের বৌদ্ধধর্মের সম্বন্ধ বিরাজমান।

বৈদিক রাজা ইন্দ্র প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধ নগরদ্বয় মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা ধ্বংস করার পর প্রাচীন ভারতে বৈদিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (লেখক স্বপন বিশ্বাসের লেখা ইংরেজি বই ‘বৌদ্ধধর্ম’ মহেঞ্জোদারো হরপ্পার ধমর্, কলিকাতা ১৯৯৯), এবং প্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধদর্শনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ বৈদিক সাহিত্যে বিরাজমান এবং প্রাচীন উপনিষদের বিভিন্ন উপদেশ বৌদ্ধধর্ম থেকে নকল করা হয়েছে বলে গৌতমবুদ্ধ ত্রিপিটকের (মধ্যম নিকায়ের ৭৫ নন্বর) মাগন্দিয় সূত্রে ব্যাখ্যা করেছেন। বৈদিক উপনিষদ সাহিত্য সহ বিভিন্ন পুরাণ কাহিনীতে বৌদ্ধধর্মকে নকল করে হিন্দুধর্ম করা হয়েছে এবং মতো হিন্দুরাজনীতির রঙে রাঙিয়ে সূর্য ক্যালেন্ডার করা হয়েছে! (লেখক স্বপন বিশ্বাসের লেখা ইংরেজি বই ‘বৌদ্ধধর্ম’ মহেঞ্জোদারো হরপ্পার ধমর্, কলিকাতা ১৯৯৯), এবংপ্রাগৈতিহাসিক বৌদ্ধদর্শনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ বৈদিক সাহিত্যে বিরাজমান এবং প্রাচীন উপনিষদের বিভিন্ন উপদেশ বৌদ্ধধর্ম থেকে নকল করা হয়েছে বলে গৌতমবুদ্ধ ত্রিপিটকের (মধ্যম নিকায়ের ৭৫ নন্বর) মাগন্দিয় সূত্রে ব্যাখ্যা করেছেন। বৈদিক উপনিষদ সাহিত্য সহ বিভিন্ন পুরাণ কাহিনীতে বৌদ্ধধর্মকে নকল করে হিন্দুধর্ম করা হয়েছে! দেশ পত্রিকায় “রামায়ণ বিষবৃক্ষম (28 January 1978)! উক্ত হিন্দু রামায়নের অযোধ্যা কান্ডের বত্রিশ নম্বর শ্লোকে গৌতমবুদ্ধকে চোর এবং বৌদ্ধদেরকে নাস্তিক বানিয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, রাম রাজত্বে বিদ্যা -শিক্ষার কোন অধিকার শূদ্রের ছিলনা। দশরথ জাতকই রামায়নের উৎস এবং হিন্দুরাজনীতি বৌদ্ধদের হাত থেকে বৌদ্ধ রামায়ন দশরথ জাতক কেড়ে নিল! তেলেগু Honorable Writer Mrs.. রঙ্গনায়কান্মষর লেখষ “রামায়ণ বিষবৃক্ষম” শীর্ষক বই (দেশ, পৃষ্ঠা ১১৯, কলিকাতা, 28 January 1978) এবং হিন্দুরাজনীতির ভগবান শ্রী রাম ও রামায়ণে আদিবাসী হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ঐড়হড়ৎধনষব ৎিরঃবৎ গৎং. রঙ্গনষয়কা ন্মষ “রামায়ণ বিষবৃক্ষম’ শীর্ষক বই লিখেছেন (3 Volumes in 1974 and 1976)! লেখক প্রশান্ত রায় লিখেছেন, (কৃত্তিবাসী রামায়ন, প্রকাশক অক্ষয় লাইব্রেরী, Kolkata, বেনীমাধবশীল সম্পাদিত, পাতা ৬০৬) “এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, রাম রাজত্বে বিদ্যা -শিক্ষার কোন অধিকার শূদ্রের ছিলনা। ছিলনা জ্ঞানচর্চা, শাস্ত্রচর্চা ও তপস্যা করার কোন অধিকার ছিলনা কেন? ছিলনা জ্ঞানচর্চা, শাস্ত্রচর্চা ও তপস্যা করার কোন অধিকার ছিলনা কেন? কেউ করলে ভগবান রামচন্দ্র নিজের হাতে তার শিরোচ্ছেদ করেছেন। তাহলে ভগবান ও জাতপাত মানেন? ভগবানের কাছেও মানুষের ছোটবড় ভেদাভেদ আছে? এই রামচন্দ্র কি শূদ্রের ভগবান হতে পারেন?

আর বর্তমান কালে যারা সংবিধানকে অমান্য করে ভারতের বুকে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লেগেছে! শূদ্ররা তা মেনে নেবেন? আর যে সব শূদ্র সন্তানেরা “রামরাজত্বের শ্লোগান” তুলছেন, তারা কি এই সব ইতিহাস জানেনা? আসলে রামরাজত্বের কথা বলে শূদ্রকে বড়ো ধোকা দেওয়া – এই বোধ কি তাদের নেই। তাই মূলনিবাসী, বহুজন, ভূমিপুত্ররা সাবধান হও, ব্রাহ্মন্যবাদীরা আবার “রামরাজত্বের” ধুঁয়ো তুলে বগলে ধারালো তলোয়ার নিয়ে শূদ্র শম্বুকের বংশধরদের আবার শিরোচ্ছেদ করতে প্রস্তুত।”

আমার দেশ আমার পরম তীর্থভূমি এবং মানবাধিকারই সর্বকালের ধর্মের মূলমন্ত্র। হিন্দুধর্মের পূর্বে মহেঞ্জোদারো প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনে কাশ্যপবুদ্ধের প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস! তুমি ব্রাহ্মণ যে মানব, অখন্ড মানব জাতি সেই মানব! কোন ব্রাহ্মণ শূদ্রকে হত্যা করলে কুকুর বিড়াল হত্যার সমান পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবেন (মনুস্মৃতি ১১/ ১৩২)! প্রায় ৫ হাজার পূর্বে বৈদিকপূর্ব চক্রবর্তি রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো বোধিসত্তে¡র (Maha Sudarshan) প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন মহেঞ্জোদারো মিউজিয়ামে বিরাজমান (Sind, Pakistan) ১ বল বীর- বল রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো বোধিসত্তে¡র উন্নত শির! শির নেহারি’ রাজর্ষি মহেঞ্জোদারো বোধিসত্তে¡র নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি !