স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রীড়া জগতের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিনোদন জগতের তারকাদের সম্পর্ক পুরনো। এই দুটি ক্ষেত্র সবসময়ই বিভিন্ন কারণে আলোচনায় থাকে। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে অভিনেত্রী বা গায়িকাদের প্রেমের সম্পর্ক অহরহ ঘটে। তবে এর মধ্যেও সমর্থকদের আগ্রহের তালিকায় শীর্ষের দিকেই রয়েছে স্পেন ও বার্সেলোনার ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে ১০ বছরের বড় পপ তারকা শাকিরার প্রেমের গল্প।

দুজনের গল্পের শুরুটাও বেশ আকর্ষণীয়। যা হয়তো এখনো অনেকেরই অজানা। দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ২০১০ সালে স্পেনের মাদ্রিদে। সেখানে ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের থিম সং ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানের ভিডিও শুট করছিলেন শাকিরা। আর সেই ভিডিওতে মডেল হন জেরাড পিকে। তখন পিকের বয়স ছিল ২৩ ও শাকিরার ৩৩ বছর।

২০১৬ সালে স্পেনের টিভি৩ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেরার্ড পিকে বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে মাদ্রিদে ওই ভিডিও শুট হয়েছিল। সেটাই আমাদের প্রথম দেখা এবং আমি তার (শাকিরা) কাছে নাম্বার চাই। এরপর আমাদের দেখা হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্স থাকায় সে আমাদের আগেই সেখানে চলে যায়।’
পরে এক সাক্ষাৎকারে শাকিরা বলেছিলেন, ‘আমি ফুটবল সমর্থক নই। তাই আমি জানতাম না সে (পিকে) কে। এরপর আমি যখন ভিডিওটি (ওয়াকা ওয়াকা গান) দেখি, তখন নিজে নিজেই বলি, হুম, এই বাচ্চাটি (পিকেকে উদ্দেশ্য করে) কিউট। এরপর কেউ একজন আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়।’

যাইহোক, টিভি৩ টেলিভিশনকে পিকে আরও বলেন, ‘যখন জানলাম সে (শাকিরা) আমাদের আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে গেছে, তখন আমি তাকে একটা টেক্সট করলাম। জিজ্ঞেস করলাম, সেখানকার আবহাওয়া কেমন? কারণ, আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে যাবো।’

‘এটি ছিল আপনার করা অপ্রয়োজনীয় একটি প্রশ্ন এবং এসবের জবাব সাধারণত এমন হয়, ‘খুবই ঠান্ডা, জ্যাকেট নিয়ে এসো।’ কিন্তু সে বিশাল বড় এক টেক্সট লিখলো, যেখানে আবহাওয়া পরিবর্তনের বিস্তারিত লেখা ছিল। আমি ভাবলাম, এটা কোনোভাবেই সাধারণ হতে পারে না। এটি এমন টেক্সট ছিল যা দেখে বলা যায়, কিছু একটা হচ্ছে। আমরা টুর্নামেন্টের বাকিটা সময়ও এভাবে টেক্সট আদান-প্রদান করেছি’ যোগ করেন তিনি।

স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডার আরও বলেন, ‘যাইহোক, তার সঙ্গে দেখা করার আরেকটা সুযোগ ছিল, সেটা হলো বিশ্বকাপ ফাইনাল। যেখানে সমাপনী অনুষ্ঠানে ওর পারফরম্যান্স ছিল। আমি তাকে বললাম, যদি তোমাকে দেখার জন্য আমার ফাইনালে খেলতে হয় আমি সেটাই করবো।

স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার আগ পর্যন্ত ফাইনালটি ছিল আমার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। আমি আমার জীবনের ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। আমি সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে যাই ভিন্ন এক ব্যক্তি হয়ে।’

পরের বছর ২০১১ সালের মার্চে নিজেদের প্রেমের সম্পর্ক স্বীকার করেন শাকিরা-পিকে জুটি। তার আগে থেকেই কাতালান ভাষা শেখার চেষ্টা করেন শাকিরা এবং পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। বর্তমানে এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।