হাসান জাহিদ : কথা শিল্পী হাসান জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন ইংরেজি সাহিত্যে, আর কানাডায় পড়াশুনা করেছেন সাংবাদিকতা ও কালচার এন্ড হেরিটেজ বিষয়ে। তিনি ইকো-কানাডা স্বীকৃত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক হাসান জাহিদ ‘বালুকা বেলা’ কলামে ‘বাংলা কাগজ’ এর পাঠকের কাছে তুলে ধরবেন তাঁর প্রিয় সব বিষয়ের অনুসন্ধিৎসু ক্যানভাস।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন দ্রæত ছড়িয়ে পড়েছে বিশে^, কানাডায়, বিশেষত অনটারিও প্রদেশে। করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত নতুন ধরন ওমিক্রন পৌঁছেছে কানাডাতেও।

অনটারিওর প্রাদেশিক সরকার জনগণের প্রতি দ্রæত করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও নতুন ধরনটি করোনার বিদ্যমান টিকার কার্যক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।
রাজধানি ওটাওয়াতে প্রথম শনাক্ত দুই ব্যক্তি সম্প্রতি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ নাইজেরিয়া ভ্রমণ করে দেশে ফেরেন।

নভেম্বর ২০২১ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ ভ্রমণ করে কানাডায় পৌঁছানো বিদেশি নাগরিকদের ওপর নতুন ভ্রমণ নীতিমালা জারি করেছে সরকার ইতোমধ্যেই।
ওমিক্রন গ্রিক বর্ণমালার ১৫তম অক্ষর। গ্রিক সংখ্যাগুলির সিস্টেমে এটির মান ৭০। অক্ষরটি ফিনিশিয়ান অক্ষর আইয়াইন থেকে প্রাপ্ত।

ওমিক্রন প্রকারণটিতে অস্বাভাবিক সংখ্যায় বংশাণুগত পরিব্যক্তি (পরিব্যক্তি বা মিউটেশন হলো কোষ জিনোমের ডিএনএ গঠনের স্থায়ী পরিবর্তন। ডিএনএ রেপিকেশনের (প্রতিলিপায়ন/প্রতিলিপন সময়) ঘটেছে, যেসবের অনেকগুলি নতুন প্রকৃতির।
এগুলির মধ্যে বেশ কিছু পরিব্যক্তি করোনাভাইরাসের কীলক প্রোটিনটিতে ঘটেছে, যে প্রোটিনে এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস রোগের বিভিন্ন টিকার মূল লক্ষ্যবস্তু। এইরূপ বিভেদের কারণে সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ওমিক্রন প্রকারণটির সংবহনযোগ্যতা, অনাক্রম্যতন্ত্রকে এড়ানোর ক্ষমতা এবং টিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কি না, সে ব্যাপারে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রকারণটিকে আগ্রহজনক প্রকারণের পরিবর্তে দ্রæত উদ্বেগজনক প্রকারণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। প্রকারণটি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে বা এর বিস্তার যেন মন্থর হয়ে পড়ে, সে ব্যাপারে ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই কয়েকটি দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

আশা করা যাচ্ছে, কানাডায় ওমিক্রনের সংক্রমণের হার অচিরেই কমে আসবে। কানাডার মতো উন্নত দেশে সরকারের অনেক কাজ জনগণই সেরে ফেলে। কারণ তারা নিয়ম-কানুন মেনে চলে। সচেতনতা তাদের মধ্যে প্রবল। ‘Prevention is better than cure’ কথাটা কানাডার মতো দেশে সর্বতোভাবে প্রযোজ্য। কেননা বিশেষত করোনাভাইরাস ও এর ভ্যারিয়েশনসগুলোর ক্ষেত্রে ফলত টিকা গ্রহণের চেয়ে সচেতনতা-সতর্কতা ও নিয়মবিধি মেনে চলাটা কানাডার মানুষের ভালো মতোই জানা।

উন্নত দেশ বিধায় আইসোলেশন-কোয়ারাইনটাইন আর স্বাস্থ্যসেবা বিশে^র যে কোনো দেশের চেয়ে কানাডার অবস্থান অনেক সন্তোষজনক। পার্থক্য, এমন একটি জীবাণূর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে, যার সম্পূর্ণ নির্মূলের কোনো টিকা বা পিল এখনও কার্যত আবিষ্কৃত হয়নি। এছাড়া, বাড়তি সুবিধা যে, কানাডায় স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ ফ্রি। তদুপরি, সরকারের ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস তো আছেই। উদাহরণত, চলমান বিøজার্ড বা তুুষার ঝড়ের বিরুদ্ধে সরকারের ও জনগণের প্রস্তুতি। মূলত, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কানাডা সরকারের ইমার্জেন্সি ফান্ড বা বাড়তি বাজেট থাকে। যদিও ওমিক্রনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে কানাডার হাসপাতাল, বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
পক্ষান্তরে, দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য রোগ-ব্যারাম-অতিমারি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা বঞ্চিত বিপুল সংখ্যক মানুষ অজ্ঞ ও অসচেতন। এই ক্ষেত্রটিই বাংলাদেশের সরকার ও আপামর জনসাধারণের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।
করোনার নতুন এ ধরনটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তবে এটিতে বিপুলসংখ্যক পরিবর্তন চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা, যার ভিত্তিতে একে উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ওমিক্রন করোনার অন্য প্রজাতিগুলোর তুলনায় অধিক সংক্রামক বা বিপজ্জনক কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
বতসোয়ানা থেকে ভাইরাসটি সাউথ আফ্রিকায় পৌঁছানোর পর এর বিষয়ে জানতে পারে বিশ্ব। এরপর যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৯ সালে চিনের উহানে শনাক্ত কোভিড নাইনটিনের চেয়ে ওমিক্রন একেবারেই আলাদা।

বিশ্বে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে মৃদু হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও)। এই ধরনে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
কোভিডের ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ধরনগুলোর মধ্যে এর আগে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছিল ডেল্টাকে। ওমিক্রনের অস্তিত্ব¡ শনাক্তের পর থেকে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি উঠে আসছে, তা হলো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক কি না।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যেই ডবিøউএইচও ওমিক্রনের বিষয়ে সবশেষ সংগৃহীত কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে।

ওমিক্রনের মধ্যে অনেক পরিবর্তন শনাক্ত হয়েছে, যা ভাইরাসটির আচরণেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা সাউথ আফ্রিকার স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এখনও পর্যন্ত অর্ধশত পরিবর্তন শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরনে। এর বহিঃআবরণীতে থাকা আমিষের যে অংশটি ভাইরাসকে কোষের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সাহায্য করে, সেই ‘স্পাইক প্রোটিন’-এর সংখ্যা ৩০টি।

করোনা প্রতিরোধী টিকা মূলত ভাইরাসের এই ‘স্পাইক প্রোটিন’কেই আক্রমণ করে। কারণ ‘স্পাইক প্রোটিন’ ব্যবহার করেই ভাইরাসটি দেহের কোষে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করে।
ডবিøউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, আগে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা ওমিক্রনেও আক্রান্ত হতে পারেন বলে প্রাথমিক গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিরা নতুন ধরন ওমিক্রনের সহজ শিকার হতে পারেন।

ডেল্টাসহ করোনার অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে অধিক সংক্রামক কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত শুধু আরটি-পিসিআর (আরটি-পিসিআর পরীক্ষা একটি ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, যা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ-তে আরএনএ-এর বিপরীত প্রতিলিপিকে একত্রিত করে) পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমেই নতুন ধরনটি শনাক্ত করা সম্ভব।

টিকার ওপর এই ভ্যারিয়েন্টটির প্রভাব খতিয়ে দেখতেও কাজ শুরু করেছে ডবিøউএইচও।
ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কতোটা, সে বিষয়টিও স্পষ্ট হয়নি। উপসর্গের দিক থেকে করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন আলাদা কি না, সে বিষয়েও কোনো তথ্য মেলেনি।
প্রাথমিক তথ্য অবশ্য বলছে যে, সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকায় করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে শুধু ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে বরং এক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণেও হতে পারে এটি।

অন্টারিও প্রদেশ ৯ জানুয়ারি ২১টি নতুন কোভিডজনিত মৃত্যুর খবর দিয়েছে এবং ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিবিড় পরিচর্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই মুহূর্তে অনটারিও প্রদেশ সরকার এবং কানাডীয় সরকার বেশ চাপের মুখেই আছে।
প্রতিদিন কানাডাতে ব্যাপক হারে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। গত গ্রীষ্মে যেখানে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০০, এখন তা প্রতিদিন গড়ে দাঁড়িয়েছে ১২-১৫ হাজার।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির পরিচালক এপিডেমিওলজিস্ট মাইকেল ওস্টারহোলম বলেন, “এটি বাগানের হোস এবং ফায়ার হোসের মধ্যে এক ধরনের পার্থক্য।”
তিনি বলেন, “ডেল্টা যতটা খারাপ ছিল, এটি বাগানের হোসই ছিল। কিন্তু ওমিক্রন সংক্রমণের দিক থেকে একটি ফায়ার হোস।”

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. বনি হেনরি ফোন সাক্ষাৎকারে সিবিসিকে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা যেখানে আছি, সেখানে আছি। যদি এটা প্রাথমিক ভাইরাস হতো যা আমাদের টিকা দেয়ার আগে ছিঁড়ে যেত, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের, আমি বলতে চা”িছ, এটি প্লেগ হয়ে দেখা দিত।”
মিজ বনি বলেন যে, ওমিক্রনের সাথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ইনকিউবেশন পিরিয়ড এতো ছোটো হয়ে গেছে, যার অর্থ যদি পূর্ববর্তী রূপগুলির সাথে উপসর্গসমূহ উদ্ভূত হতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে তবে এখন মানুষের অসুস্থ হতে মাত্র দুই বা তিন দিন সময় লাগে।
“সুতরাং এটি দ্রæত বিস্ফোরক প্রাদুর্ভাব যা তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর, কিন্তু যখন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তখন আপনার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়বে।” তিনি বলেন।

কোভিড যাতে বহু বিস্তার লাভ না করে, সেজন্য অনটারিও প্রদেশে নানা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুললোতে ইন-পারসন ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপর নতুন উৎপাত তুষার ঝড়ের কারণে ক্লাস ও উপস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে।
আর এখন থেকে অনটারিও প্রদেশের রেস্তরাঁগুলোতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আর বসে খাওয়া যাবে না। শুধু প্রযুক্তি আউলেট খোলা থাকবে। জিম, বার, পাব, নাইটক্লাব সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা, গ্যালারি, সায়ান্স সেন্টার ও জাদুঘর বন্ধ সাময়িকভাবে। সামাজিক জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ইনডোরে ৫ জনের বেশি একসঙ্গে হতে পারবেন না এবং আউটডোরে ১০ জনের বেশি একসঙ্গে হতে পারবেন না। শপিংসেন্টার, মল, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি লোক ঢুকতে পারবেন না। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সবাইকে ঘরে বসে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের ‘নন আর্জেন্ট’ অপারেশন বাতিল করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নির্দেশ কার্যকর হয়েছে এবং ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্দেশনা বজায় থাকবে। প্রতিষ্ঠানসমূহের সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বা চাকরি হারাবেন। তাদের জন্য সরকার কিছু প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যান্য প্রদেশেও আক্রান্তের হার প্রতিদিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত কানাডায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪১ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩০ আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ হাজার ৩৬৯ জন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কোথাও যাওয়ার সময় এটা নয়। আর ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডুকলোস সংক্রমণ ঠেকাতে বলেছেন, ফেডারেল সরকার ভ্রমণ নির্দেশিকা পরিবর্তনের কথা ভাবছে।
নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ স্বাস্থ্য বিবেচনায় ও জীবনের প্রতি হুমকি নিরসনে কানাডায় অনেকেই তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছেন।
এসব গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপ, সরকার ও জনগণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কানাডা অচিরেই ওমিক্রনের বিস্তার ও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আশানুরূপভাবে কমিয়ে আনতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করি।