অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ তিন মাস পর কানাডার ক্যালগেরি শহরে শুক্রবার হতে স্থানীয় জরুরি অবস্থা শেষ হচ্ছে। ক্যালগারি ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (সিইএমএ) প্রধান টম সাম্পসন বলেছেন, জরুরি অবস্থার অবসান করার সময় ঠিক হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ক্যালগেরিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আমরা সেদিকে নজর রাখছি।

অন্যদিকে শুক্রবারের দ্বিতীয় ধাপে অর্থনীতি সচল রাখতে পুনরায় খুলে দেওয়ার সাথে শহরের অভ্যন্তরীণ বিনোদনমূলক কিছু সুবিধাগুলি খুলতে শুরু করবে।
তবে সাম্পসন বলেছেন, সব কিছুকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে না। আমরা আশা করি যে, চার থেকে পাঁচটি জলজ এবং ফিটনেস সুবিধা খোলা থাকবে, দুটি বরফের, এবং চারটি আইস প্যাড খোলা থাকবে এবং উপলভ্য হবে বেশ কয়েকটি ড্রাইভ প্যাড।

ক্যালগেরি শহরের কিছু ফ্যাসালিটিজ করোনাকালীন বন্ধের সময় রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেডের মধ্য দিয়ে চলেছে। পাশাপাশি প্রায় ১,২০০ স্টাফ সদস্যকে লেইড অফ করা হয়েছিল এবং তাদের আবারও ফিরিয়ে আনা হবে।

পুনরায় খোলার জন্য প্রস্তুত ফেসালিটিজের তালিকাটি শহরের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হবে।

ক্যালগেরির মেয়র নাহিদ ন্যান্সি নতুন করে পুনরায় খোলার পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও, ক্যালগেরিয়ানদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে এটি খুব বেশি পরিবর্তন হয় না এবং ভাইরাসটি এখনও সেখানে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি তা স্বীকার করতে হবে, আমাদের এখনো খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হবে।

সবকিছু পুনরায় খুলতে শুরু করলেও ক্যালগেরিবাসীর মধ্যে আতঙ্ক এখনো রয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে কত দূর চলা যাবে তাতে অনেকেই শঙ্কিত। তার পরেও অর্থনীতি সচল রাখতে ও নীতিনির্ধারকদের নির্দেশক্রমে পুনরায় সবকিছু শুরু করতে হচ্ছে। একদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আর অন্যদিকে করোনা আতঙ্ক-সবকিছু মিলিয়ে যেন এক অন্যরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই সবাই চলছে।

অন্যদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে ষষ্ঠ দিন অতিবাহিত করলো কোনো মৃত্যু ছাড়া। উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কানাডার বৃটিশ কলম্বিয়াতে মারা গেলেও এখন শহরটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তুলনামূলক ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় মৃতের সংখ্যা এখন অনেক কম।

পুরো কানাডা জুড়ে এখন চলছে গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে কানাডাবাসীর বিভিন্ন বিনোদনমূলক পরিকল্পনা থাকলেও এ বছর তা হচ্ছে না। দূরপাল্লার ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই এবার পারছেন না দূর দেশে প্রিয়জনদের সাথে দেখা করতে। সবকিছু আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে-এমন প্রত্যাশা নিয়েই সবাই দিন কাটাচ্ছে।