অনলাইন ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্ধিতা প্রার্থীকে এড. তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় মিষ্টি নিয়ে গেলেন নব-নির্বাচিত মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী। পারিবারিক ভাবে আইভী ও তৈমুর চাচা-ভাতিজীর সম্পর্ক। নাসিক নির্বাচনে তারা ছিলেন প্রধাণ প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। তাদের দুইজনকে নিয়ে সারা দেশে ছিল ব্যাপক আলোচনা। বিজয়ের ২৪ ঘন্টা না পাড় হতে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী চাচার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান আইভী। সোমবার (১৭ জানুয়ারী) বিকেল ৫টার দিকে এড. তৈমুর আলম খন্দকারের মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনের বাড়িতে যান মেয়র আইভী।

এদিকে নাসিক নির্বাচনে ভোটের ময়দানে যাই থাকুক আইভী-তৈমুরের মধ্যে অতীত সম্পর্কটা ছিল চাচা ভাতিজির। ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাবা প্রয়াত পৌর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকার শিষ্য ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তখন থেকেই তাদের সম্পর্কটা অনেক। চুনকা জীবিত থাকাকালে তাঁর পাশেই থাকতেন তৈমূর। এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুইজন মেয়র প্রার্থী হন। দুইজনই রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও কেউ কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দেননি। ভোটে জিতে যাওয়ার পরদিনই তৈমূরের বাসায় ছুটে যান আইভী। দুইজন একত্রে যখন তখন এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আইভীকে পেয়ে বুকে টেনে নেন তৈমূর।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আলী আহম্মেদ চুনকার হাত ধরে নারায়ণগঞ্জে আমার আসা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে জড়ানো। চুনকার সাহেবের বিপক্ষে আমি কখনো কোন খারাপ কথা বলতে পারবো না। আমি তাকে সম্মান দিয়ে আসছি। চুনকার সাহেবের কন্যা মেয়ে ডা: সেলিনা হায়াত আইভী মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাই। আমি যেখানেই থাকি আইভীকে সহযোগিতা করবো। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে এটা আজীবন থাকবে।

তৈমুরের বাসায় গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আইভী বলেন, ভোটে যাই হোক আমরা তো চাচা ভাতিজি। এ সম্পর্কটা আর কখনো নষ্ট হবে না। আমাদের সম্পর্ক পারিবারিক। আমি মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। তৈমুর চাচার সহযোগিতা কামনা করছি। জয়-পরাজয় যাই হোক আমাদের সম্পর্ক আগে যেমন ছিল ভবিষ্যতে এমটাই থাকবে। রাজনৈতিক এক জিনিস আর পারিবারিক সম্পর্ক অন্য জিনিস। তৈমুর কাকার সাথে সম্পর্ক থাকবে আজীবন। তৈমুর চাচা আমার সব সময় খোজখবর না নিতে পারলেও আমার চাচী সব সময় আমার খোঁজখবর নিতেন।

প্রসঙ্গ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপুল ভোটের ব্যবধানে স্বতস্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে পরাজিত করে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন।