সোনা কান্তি বড়ুয়া : ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এ বছর উদ্যাপন করছে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। পাকিস্তান ২৪ বছর যাবত আমাদের বাংলা দেশের বিপুল ধন রাশি লুট করেছে। সংবাদ মিডিয়ায় অনেক ফাটাফাটির পর পাকিস্তানি প্রশাসনিক Military শক্তির অহংকারে ঘূর্ণাবর্তের ঘোমটা সরিয়ে গোটা পৃথিবীকে দেখাল পাকিস্তানি ধর্মবিদ্বেষের Military অভিশপ্ত রাজনীতির কুৎসিত চেহারা।’ পাকিস্তানি ধর্মবিদ্বেষের ENEMY PROPERTY অভিশপ্ত রাজনীতির শিকার দুর্ধর্ষ ডাকাত থেকে খোঁড়া ভিখিরি। আলোকিত জনতা উপলব্ধি করেছেন ধর্মবিদ্বেষের অভিশপ্ত রাজনীতি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম নয়।
মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাসকে এই প্রজন্মের কাছে তাদের মতো করে ফুটিয়ে তুলতে ‘আপনার শিশুকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে উৎসাহিত করুন। আগামীর চোখে বাংলাদেশ’। আমার চোখে বাংলাদেশ! পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাথে হিন্দু বৌদ্ধ রাষ্ট্রদ্বয় (ভারতও ভুটান) পাকিস্তানের AGAINST যুদ্ধ করে! গোটা দেশ সেই সমস্ত বীর, সাহসীদের আত্মত্যাগের প্রতি সবসময় ঋণী থাকবে।’ “দুঃখের তপস্যা আজও হয়নি সমাপন।” পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী!
পাকিস্তানি MILITARY জান্তা বঙ্গবন্ধুর বিচার করে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিলে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর জীবন বাঁচাতে উদ্যোগী হন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদারী থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানি কারাগার হতে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি লন্ডন হয়ে বিজয়ীর বেশে স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তন করেন। সারা দেশে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে যায়। সমাজের সর্বস্তরের লাখো জনতা তেজগাঁ পুরাতন বিমানবন্দরে তাঁকে বীরোচিত অভ্যর্থনা জানায়।
নতুন প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্বকে ঘিরে এবং সেই সূত্রে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে যে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ জমে উঠেছিল তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে তা তিরোহিত হয়। লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকার ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল : বঙ্গবন্ধু ‘শেখ মুজিব ঢাকা বিমানবন্দরে পর্দাপণ করা মাত্র নতুন প্রজাতন্ত্র এক সুদৃঢ় বাস্তবতা লাভ করে।’ শতবর্ষের অমরত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান! নয়া দিন নয়া রাতের দিন বদলের যুগে সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (5 th Dec. 2021) দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে আয়োজিত অনুষ্ঠান ছিল তারই প্রতিফলন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুজিব রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষ লোকের বিশাল জমায়েতে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে যুগ সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ভাষণে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ব্যর্থ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আনেন। বক্তৃতার শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন: ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে… মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ… এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। ৭১ সালে কিছু রাজাকার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ ছিল বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এখন বাংলাদেশের মানুষ নিকৃষ্ট মানুষে পরিণত হয়েছে। সেজন্য অর্জন-বিয়োজন মিলিয়ে ৫০ বছরে আমরা এগিয়েছি অনেকটা; তবে যেতে হবে আরও বহুদূর। বিশেষ করে আদর্শিক বিচ্যুতির জায়গাটা অনেক বড়। আমাদের সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ কিন্তু জনগণ এখনো রাষ্ট্রের মালিক হতে পারল না। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হারিয়েছি, চার জাতীয় নেতাকে হারিয়েছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরের মধ্যে প্রায় ২৫ বছর আমরা হারিয়েছি। কারণ ৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না। তারা রাজাকারদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল। বাকি ২৫ বছর আমরা সময় পেয়েছি। এই সময়ে বৈষয়িক সমৃদ্ধি অর্জন করেছি, কিন্তু মনুষ্যত্বের অবনমন হয়েছে প্রচণ্ডভাবে।
১৯৫৩ সালে শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন। ১৯৬৬ সালেই তিনি দলের সভাপতি হন। দলকে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র দেওয়ার জন্য ১৯৫৫ সালে মুজিবের উদ্যোগে দলের নাম হতে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালের পর রাজনীতিতে তাঁর যে ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির উন্মেষ ঘটেছিল এ ছিল তারই প্রতিফলন।
শেখ মুজিবের মুক্তির পরবর্তী দিন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ রমনা রেসকোর্সে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) শেখ মুজিবের সম্মানে গণসম্বর্ধনার আয়োজন করে। এ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদই শেখ মুজিবকে নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানে সরকারকে বাধ্য করার ব্যাপারে সবচাইতে কার্যকর রাজনৈতিক এবং সামাজিক শক্তি বলে প্রমাণিত হয়। সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে পরিষদের সভাপতি তোফায়েল আহমদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। মুজিবের মধ্যে তারা এমন একজন ত্যাগী নেতার প্রতিফলন দেখতে পান যিনি ২৩ বছরের পাকিস্তানি শাসনামলের প্রায় বারো বছর জেলে কাটিয়েছেন। বারো বছর জেলে এবং দশ বছর কড়া নজরদারীতে থাকার কারণে শেখ মুজিবের কাছে পাকিস্তানকে নিজের স্বাধীন বাসভূমির পরিবর্তে বরং কারাগার বলেই মনে হতো।
ভারত বিভাগের (১৯৪৭) পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়নের জন্য ভর্তি হন। তবে পড়াশুনা শেষ করতে পারেননি। কারণ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্যের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ১৯৪৯ সালের প্রথমদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠনে প্রধান সংগঠকদের একজন ছিলেন শেখ মুজিব। বস্তুত জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের (১৯৪৯) যুগ্ম সম্পাদকের তিনটি পদের মধ্যে একটিতে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবের সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। অপর দুই যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ এবং এ. কে রফিকুল হোসেন।
শতবর্ষের আলোকে বঙ্গবন্ধুর জয়! যিনি মহাকাল করেছেন জয়। জয় বাংলার জয়, বঙ্গবন্ধুর জয়! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। তিনি সব বাঙালির। আসুন, সবাই মিলে সেই শুভ দিনটি উদ্্যাপন করি। সামনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতাও আমাদের সবার, যারা আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী এবং স্বাধীনতার আদর্শ ও চেতনা লালন করি। আসুন, সবাই মিলেই এগিয়ে যাই। পা রাখি আগামীর বাংলাদেশে, যেখানে আমাদের উত্তর-প্রজন্ম গাইবে আজকের রাষ্ট্রনায়কদের প্রশংসা-গীত। গাইবে একবিংশ শতকের বাঙালিদের বিজয় অর্জনের বীরত্বগাথা। মুক্তিযুদ্ধের গান। আজ যারা দেশের জন্য কাজ করবেন, দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করবেন, তারাই লাভ করবেন অমরত্বের বর।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাহাত্তরের সংবিধান! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান his sons, daughter in laws, relatives এবং বঙ্গমাতাকে। শতবর্ষের আলোকে বাঙালি মানসের আবেগ, যাহা জয় বাংলার অমরত্বের বরপুত্র শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্ত করেছেন “জয় বাংলা!” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই সুকীর্তি এবং সুকর্ম মানুষকে অমরত্ব দান করে, যা মানবজাতিকে সব ধরনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির পথ দেখায়।
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার, জুমার নামাজের পর পাঞ্জাবি-টুপি পরে শান্তি কমিটির ব্যানারে পাকিস্তানের পক্ষে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে রাজপথে মিছিল বের করেছিল এই উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীরা। ধর্মীয় আবেগ ব্যবহারের নিখুঁত পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে তারা বেছে নিয়েছিল মুসলিমদের ধর্মীয় ছুটির দিন শুক্রবারকে। মিছিল শুরুর স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছিল বৃহত্তর মসজিত বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটকে। সময়টাও ছিল ঠিক নামাজের পর। এরপর ইসলাম রক্ষার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিল এই স্বাধীনতাবিরোধীরা। ধর্মব্যবসা থামেনি। এরা এখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মব্যবসায়ীদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
একদা বাংলাদেশের রাজনীতির দূর্বল মুহূর্তে সেন রাজবংশ (Bijoy Sen) বাংলাদেশ দখল করল! বর্তমান বাংলাদেশ একসময় বৌদ্ধপ্রধান দেশ ছিলো। যুগের পরিবর্তনে বিলুপ্ত হতে চলছে বৌদ্ধ গোষ্ঠী! মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বরে পাওয়া গেছে পিরামিড আকৃতির BIKRAM SILA BUDDHIST UNIERSITY, PALA BUDDHIST EMPEROR PALACES & GREAT BUDDHIST TEMPLES বৌদ্ধ দেউলা। এটি দেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ নিদর্শন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রত্নতান্ত্রিকগণ। ১৯১৮ সালে পাওয়া বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন বিজ্ঞাণীরা!
হগোপাল (পাল) (৭৫০ – ৭৭০)
হধরম পাল (৭৭০ -৮১০)
হদেবপাল (৮১০ – ৮৫০)
হশূর পাল মহেন্দ্রপাল (৮৫০ – ৮৫৪)
হভায়াগ্রা পাল (৮৫৪ – ৮৫৫)
হনারায়ণ পাল (৮৫৫ – ৯০৮)
হরাষ্ট্রীয় পাল (৯০৮ – ৯৪০)
হগোপাল ২ (৯৪০- ৯৬০)
হভায়াগ্রাপাল ২ (৯৬০ – ৯৮৮)
হমহিপাল (৯৮৮ – ১০৩৮)
হনতুন পাল (১০৩৮ – ১০৫৫)
হভায়াগ্রাপাল ৩ (১০৫৫ – ১০৭০)
হমহিপাল ২ (১০৭০ – ১০৭৫)
হশূর পাল ২ (১০৭৫ – ১০৭৭)
হরামপাল (১০৭৭ – ১১৩০)
হকুমারপাল (১১৩০ – ১১৪০)
হগোপাল ৩ (১১৪০ – ১১৪৪)
হমদন পাল (১১৪৪ – ১১৬২)
হগোবিন্দ পাল (১১৬২ – ১১৭৪)
পাল রাজবংশের পর সেন রাজবংশ ১৬০ বছর বাংলা শাসন করলো ।
রাজা বল্লাল সেন বৌদ্ধধর্মীদের নমঃশূদ্র করতে হুলিয়া জারি করলো! ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরাজনীতির প্রাচীন বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ! বৌদ্ধরা কিভাবে নমঃশূদ্র হলো? In 1235 A. D. ব্রাহ্মণ্যধর্মী বল্লাল সেন যখন বাংলার রাজা হলো, তখন সে বৌদ্ধধর্মীদের হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হুলিয়া জারি করলো। বৌদ্ধরা তা মানলো না। শুরু হলো রাষ্ট্রশক্তির বলপ্রয়োগ ও অত্যাচার। অকথিত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, বৌদ্ধরা জলে জঙ্গলে (পূর্ববঙ্গে) পালালো। বল্লাল সেনাবাহিনীকে হুকুম দিল, ওদের পিছনে ধাওয়া করে হত্যা করো। (গুরুচাঁদচরিত ষষ্ঠ সংস্করণের ২৩৮ ও ২৩৯ পৃষ্ঠা দেখুন)। বাংলাদেশে প্রাচীন বৌদ্ধগণ (সহ হিন্দু দলিত জনতা) মুসলমান হ’ল কেন? হিন্দুধর্ম এবং হিন্দুরাজনীতির ষড়যন্ত্রে দ্বাদশ শতাব্দীতে কর্ণাটকের (ভারত) সেন বংশ বাংলাদেশের বৌদ্ধ পাল সাম্রাজ্য দখল করল এবং রাজা লক্ষনসেসেনর মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্রের মিরজাফরি বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজী বাংলা আক্রমন করল IN 1204 A. D. SINCE THEN মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি বৌদ্ধধর্মীদের আবেগের জায়গা!
“মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির আবেগের জায়গা, আর বিএনপি সেটা নিয়েই খেলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সরকার। ৭ মার্চের বেশ কয়েকদিন আগে, এই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তখন দেশের মানুষ মুক্তকণ্ঠে তাদের প্রশংসা করতে শুরু করে। কিন্তু ৭ মার্চ বিএনপির অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সেখানে বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার নায়ক ও খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে দেশের সেরা মানুষ হিসেবে দাবি করে। অনুষ্ঠানটি ৭ মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আয়োজন করার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জিয়াউর রহমান যেমন উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে; খালেদা জিয়াও তেমনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পরিচয় ব্যবহার করে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, (December 5) অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সর্বজনীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সকলকে তাদের সম্পদ ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের এই চরম সংকটময় সময়ে আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতায় সম্পদ ব্যয় না করে তা সার্বজনীন টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ব্যবহার করার আহ্বান জানাই। আসুন, আমরা সার্বজনীন শান্তির জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কর্মযজ্ঞে নেমে পরি।’
ইতিহাস সত্যের জয় ও মিথ্যার পরাজয় ঘোষণা করে। বাঙালী মহাপ্রাণ নেতাগণ সহ বঙ্গবন্ধু বহু চড়াই-উৎরাইর মধ্যে দিয়ে এবং ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে সমাজে সত্য এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ‘এই সব মূঢ়ম্লান মুখে দিতে হবে ভাষা, / এই সব শ্রান্ত শুস্ক-ভগ্ন বুকে ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা’ নিয়ে দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন করার!
লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), বিবিধ গ্রন্থ প্রণেতা, কলামিষ্ট এবং মানবাধিকার কর্মী। সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!