অনলাইন ডেস্ক : বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা হাসপাতাল থেকে রোগী বাড়ি ফিরলে তাকে ডালিম খেতে দেওয়া হয়। কারণ দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি বাড়াতে এই ফলের তুলনা নেই।

পুষ্টিবিদদের মতে, অন্য ফলের তুলনায় ডালিমে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার বেশি পাওয়া যায়। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। এ ছাড়া ডালিমে থাকা ম্যাগনেশিয়াম শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে। মানসিক চাপ কাটাতে, রাতে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে ডালিম। ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই ফল কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্যও উপকারী এই ফল। ভিটামিন সি থাকে বলে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ডালিম। এ ছাড়াও এই ফলে ভিটামিন কে, বি থাকে। আয়রন বেশি থাকায় নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পলিফেনল থাকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবেও কাজ করে এই ফল।

খেতে হবে দানাসহ
ডালিমে অ্যাঞ্জিয়োটেনসিন কনভার্টিং এনজ়াইম (এসিই) থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে এটি হৃৎপিণ্ডের জন্যও উপকারী।

অনেকেই ডালিম চিবিয়ে খেলে রসটা খাওয়ার পরে ফেলে দেন। আবার অনেকে জুস করে খান, সেখানেও বাদ চলে যায় দানার অংশটি। এর ফলে ডালিমের বেশিরভাগ ফাইবারই চলে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপরের খোসা ও ভিতরের সাদা আবরণটুকু ছাড়ানোর পরে দানাসহ ডালিম চিবিয়ে খেলেই শরীরে ঠিক মতো ফাইবার যায়।

পরিমিত খান
ডালিমের পুষ্টিগুণ এতটাই, প্রায় সব ধরনের অসুখ হলে এই ফল খাওয়া চলে। তবে এতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ডালিম না খাওয়াই ভালো। অনেক সময়ে বেশি মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদেরও এই ফল খেতে বারণ করা হয়। যদিও এই ফলের গ্লাইসেমিক লোড তেমন বেশি নয়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের খুব অল্প পরিমাণে, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ডালিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।