স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দলের জন্যই বাঁচা-মরার ম্যাচ। সুপার টুয়েলভে জয়হীন উভয়। এমন ম্যাচে টার্গেটে ব্যাট করার ইচ্ছেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরু থেকে ক্যারিবীয়দের দুই উইকেট শিকার করে ভালোই চাপ ধরে রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু আবারও সেই ক্যাচ মিসের মহড়া। তবে এবার লিটন নয়, যোগ দিলেন মেহেদী, আফিফরা। জীবন পাওয়া রস্টন চেজ ও নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডারের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি গড়েছে ক্যারিবীয়রা।

আজ শুক্রবার শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ রান জীবন পেয়ে ২২ বলে ৪০ করেন পুরান। অন্যদিকে ৯ রানে জীবন পাওয়া চেজ করেন ৪৬ বলে ৩৯ রান। হোল্ডার খেলেন ৫ বলে অপরাজিত ১৫ রান। যেখানে এই তিনজনের ব্যাটে আসার কথা মাত্র ১১ রান, সেখানে উইন্ডিজ পায় ৯৪ রানের ভিত।

ক্যারিবীয়দের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। টসে হেরে ব্যাট করতে এসে শুরুতে হোঁচট খায় তারা। তৃতীয় ওভারে ওপেনার এভিন লুইসকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এই পেসারের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে বড় শট খেলতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে মুশফিকের তালুবন্দি হন তিনি। খানিক পরই আরেক ওপেনার ক্রিস গেইলকে (১০ বলে ৪ রান) সাজঘরে ফেরান শেখ মেহেদী।

পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলে উইন্ডিজ। সপ্তম ওভারে এসে নিজের তৃতীয় বলে অভিষিক্ত রস্টন চেজকে ফেরাতে পারতেন মেহেদী। দারুণ একটি রিটার্ন ক্যাচ হাতছাড়া করেন তিনি। যদিও পরের বলেই লংঅফে সৌম্যের তালুবন্দিকে করে শিমরন হেটমায়ারকে ফেরান এই স্পিনার।

১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন কাইরন পোলার্ড। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে কোনো বল না খেলে রান আউটের শিকার হন আন্দ্রে রাসেল। পরের ওভারে নিকোলাস পুরানের ভেসে আসা বল মিডউইকেটে আবারও ক্যাচ মিস করেন মেহেদী। দুই রানে জীবন পেয়ে ঝড়ো ব্যাটে ২২ বলে ৪০ করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। নিজের পরের বলে আরেক জীবন পাওয়া ব্যাটার রস্টন চেজকেও সাজঘরে ফেরান শরিফুল।

শেষ ওভারে মুস্তাফিজ থেকে তিন ছক্কায় ১৯ রান আদায় করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দেন জেসন হোল্ডার।