অনলাইন ডেস্ক : পশ্চিমা বিশ্বের নাগরিকদের ডায়েটে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে ব্রাউন ব্রেড। স্বাস্থ্য সচেতনরা মনে করেন, কম ক্যালরির ব্রাউন ব্রেড শরীরের জন্য বেশি উপকারী। যারা নিয়মিত ডায়েট করেন তারা অনেকেই লাঞ্চ ও ডিনার করে থাকেন ব্রাউন ব্রেডে। কিন্তু সত্যি কি হাতরুটিকে বাদ দিয়ে ব্রাউন ব্রেড ডায়েটে বেশি উপকার এনে দেয়, এমন প্রশ্নের উত্তরটা চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমেই মনে রাখা দরকার, রুটি তৈরি করা হয় গমের আটা থেকে। ফলে সেটি ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকে। অন্যদিকে ব্রাউন ব্রেডে কিছুটা হলেও ময়দা থাকে। ফলে সেদিক বিবেচনা করলে পুষ্টির দৌড়ে রুটির তুলনায় পিছিয়ে আছে ব্রাউন ব্রেড।

সাধারণত ফার্মান্টেশন, প্রসেসিং এবং প্রিজার্ভেশন প্রক্রিয়া থাকে না রুটি তৈরিতে। বরং আটা মেখে, বেলে, ভেজে, সেঁকে তৈরি হওয়া এই খাবারে পুষ্টিমূল্য অটুট থাকে। কিন্তু ফার্মান্টেশন, প্রসেসিং, প্রিজারভেটিভ ছাড়া কোনো পাউরুটিই তৈরি করা যায় না। তাই ব্রাউন ব্রেডও এর ব্যতিক্রম নয়।

সব ধাপ পেরিয়ে ব্রাউন ব্রেড যখন আমাদের খাওয়ার জন্য আসে তখন তার পুষ্টিমূল্য অনেক কমে যায়। তাছাড়া পাউরুটিতে থাকা ইস্ট সবার পরিপাকক্রিয়ার সহায়ক নাও হতে পারে। রুটিতে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেটস, সলিউবল ফাইবার এবং প্রোটিন আছে। ফলে শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। রুটিতে থাকা ফাইবার আমাদের কর্মশক্তি বাড়িয়ে তোলে। রক্ত সংবহন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। রুটি খেলে পাউরুটির তুলনায় পেট অনেক বেশি পূ্র্ণ বলে মনে হয়। সেজন্য হয়তো হুটহাট চোখের খিদের অভ্যাসটা আর থাকে না।

রুটির সলিউবল ফাইবার হজম করাও তুলনামূলক সহজ। এটি সহজেই দ্রবীভূত হয়ে যায়। কিন্তু পাউরুটি অনেক সময়েই হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। দোকানে তৈরি ব্রাউন ব্রেডে অনেক সময়েই ক্ষতিকারক রঙ মিশানোর অভিযোগ ওঠে। ফলে এটি যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রুটির ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা একবারেই নেই৷