অনলাইন ডেস্ক : জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দয়ামায়া নেই বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১০ অক্টোবর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি এই সরকারের যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা মনে করে না। তাই এই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে। আর নিজেদের হরিলুট, ভয়াবহ দুর্নীতি ইত্যাদি অপকর্ম ঢাকতে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বুনে চলছেন হাজার হাজার মিথ্যার জাল। ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন আওয়ামী সরকার ন্যায়নীতি ও জনকল্যাণের নির্দেশ গ্রাহ্য করে না। এত কিছুর পরও নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘করোনার অভিঘাতে মানুষের আয় রোজগারে যখন টানাপোড়েন অবস্থা তখন দ্রুত বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। খাদ্যদ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, লবণ, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, তরিতরকারী, মাছ-মাংশ, পোল্ট্রি মুরগি, ডিম, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। ফলে এসব পণ্য সংগ্রহ অসম্ভব হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য। এর পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও বৃদ্ধি করা হয়েছে পাল্লা দিয়ে। গতকালও এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘বর্গীরা যেমন আগে বাংলাদেশে আসতো, লুট করতো আর চলে যেতো। এই সরকারও ঠিক একইভাবে লুট করছে এবং বিদেশে তাদের বিত্ত তৈরি করছে এবং সেখানে দেশের সম্পদের পাহাড় গড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দাম এখন চড়া। তেল, চিনি, পেঁয়াজে যেন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে, ছুঁলেই শক করে। এ বছর ইলিশের দামও কমেনি। কারণ দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে প্রতিবেশী দেশে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাম কম, অথচ আমাদের দেশে আকাশছোঁয়া। এই মূল্যবৃদ্ধি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ীরাই।’