স্পোর্টস ডেস্ক : যে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এতদিন একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে, তা খারিজ করে দিলেন আমেরিকান বিচারপতি ড্যানিয়েল আলব্রেগটস। এতেই শেষ নয়, অভিযুক্তের আইনজীবীকে পাল্টা দুষেছেন বিচারপতি।
সিআর সেভেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই অভিযোগ প্রায় এক দশক আগের। লাস ভেগাসের এক হোটেলে মডেল ক্যাথরিন মায়োর্গাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে অন্তরঙ্গ হয়েছিলেন পর্তুগিজ ফুটবলার। ওই ঘটনা নিয়ে তখন তোলপাড় হলেও তেমন তথ্য পেশ করতে পারেননি মায়োর্গা। রোনালদোও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
সেই ঘটনা আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রায় ৪ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে গিয়েছিলেন মায়োর্গা। ওই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পর কেটে গিয়েছে আরও দুই বছর। এবার আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিল, রোনালদোর বিরুদ্ধে তেমন উপযুক্ত তথ্য পেশ করতে পারেনি ক্যাথরিন মায়োর্গা। উল্টে তিনি যা দাবি করছেন, তাও তেমন মজবুত নয়।
মায়োর্গা অবশ্য এতেই থেমে যাবেন না। লাস ভেগাসের সাবেক এই মডেল বলেছেন, তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন করছেন নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। রোনালদোর আইনজীবী তার বক্তব্যে আদালতকে জানিয়েছেন, মায়োর্গার সঙ্গে ২০০৯ সালে একটি নাইটক্লাবে আলাপ হয়েছিল রোনালদোর। তিনি তাকে নিজের হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে দুইজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলেও কোনও ভাবে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। মায়োর্গা পুলিশের কাছে গেলেও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কী ঘটেছিল। শুধু তাই নয়, ঘটনাটা পুরোপুরি ব্যাখ্যাও করতে পারেননি তিনি। লাস ভেগাস পুলিশ যে কারণে রোনালদোর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনতে পারেনি তখন।
এরই মধ্যে আবার ২০১৭ সালে একটি জার্মান প্রকাশনা সংস্থা একটি বই বের করে। যার নাম ছিল- ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর গোপন ঘটনা’। আমেরিকার ফেডারেল আদালত রোনালদোকে মুক্তি দিলেও মায়োর্গা বলেছেন, নিয়ম বহির্ভুত ভাবে ওই বইয়ে সব সত্যি কথা বের হয়েছিল। যা ঠিক হয়নি। আর তার জন্যই রোনালদোকে কিংবা ওই প্রকাশনা সংস্থাকে অন্তত ২ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাকে। যদিও আদালত এই যুক্তিকেও খুব বেশি গ্রাহ্য করছে না।