অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমারের ভেতরে এবং বাইরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে প্রায় ১৮ কোটি মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এই সহায়তার ১৫ কোটি ৮ লাখ মার্কিন ডলার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সে দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশাল দায়িত্ব পালন করছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নিজ দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গারা নির্মম নিষ্ঠুরতা যেমন-নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা, অগ্নি সংযোগের শিকার হচ্ছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস লিন্ডা বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য সে দেশের সামরিক জান্তার ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিষয়ে টেকসই সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা এড়িয়ে যেতে পারি না।’
তিনি বলেন, এই সহায়তা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্য সেবার কাজে ব্যয় করা হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘আপনারা যদি ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন তাহলে আমরা আপনাকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাবো। যদি আপনারা এখনো রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কোন অবদান না রেখে থাকেন তাহলে এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার।’
বাংলাদেশের সৌজন্যে আয়োজিত ‘হাই লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: ইমপারেটিভ ফর এ সাসটেইনেবল সলিউশনস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।